সিন্ধুঘোটক
স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রজাতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
সিন্ধুঘোটক (দ্বিপদী নাম Odobenus rosmarus) হলো এক প্রকারের জলজ স্তন্যপ্রায়ী প্রাণী। এদের বাস উত্তর মেরুর কাছাকাছি উত্তর মহাসাগর এবং উত্তর গোলার্ধের মেরু-সন্নিহিত অঞ্চলে। সিন্ধুঘোটক হলো Odobenidae পরিবারের Odobenus গণের একমাত্র জীবিত প্রজাতি। এটি ৩টি উপপ্রজাতিতে বিভক্ত:[1] আটলান্টিক মহাসাগরীয় সিন্ধুঘোটক (O. rosmarus rosmarus), প্রশান্ত মহাসাগরীয় সিন্ধুঘোটক (O. rosmarus divergens) এবং লাপতেভ সাগরের সিন্ধুঘোটক (O. rosmarus laptevi)। ইংরেজিতে একে ওয়ালরাস ডাকা হয়।
সিন্ধুঘোটক[1] | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
আদর্শ প্রজাতি | |
Phoca rosmarus Linnaeus, 1758[3] | |
Subspecies | |
O. rosmarus rosmarus | |
Distribution of walrus | |
প্রতিশব্দ | |
Phoca rosmarus Linnaeus, 1758 |
সিন্ধুঘোটকের মুখে হাতির দাঁতের মতো দীর্ঘ দাঁত রয়েছে। এছাড়া এদের মুখে গোঁফ আছে। এদের দেহ মোটা থলথলে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় পুরুষ সিন্ধুঘোটকের ওজন ৪,৫০০ পাউন্ড (২,০০০ কেজি)পর্যন্ত হয়। ফ্লিপার-পদ (pinniped) প্রাণীদের মধ্যে কেবল হস্তি সীলমাছের ওজনই সিন্ধুঘোটকের চাইতে বেশি। [4] সিন্ধুঘোটক অগভীর সমূদ্রে বাস করে। জীবনের অধিকাংশ সময় এরা সমুদ্রের বরফের মধ্যে কাটায়। এদের প্রধান খাদ্য হলো বেন্থিক শামুক ও ঝিনুক। এরা দীর্ঘজীবী এবং সামাজিক প্রাণী।
উত্তর মেরুর কাছাকাছি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জীবন ও খাদ্যাভ্যাসে সিন্ধুঘোটকের গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। দীর্ঘকাল ধরেই সেখানকার আদিবাসীরা সিন্ধুঘোটক শিকার করে আসছে। সিন্ধুঘোটকের মাংস, চর্বি, দাঁত, এবং অস্থিকে আদিবাসীরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। ১৯ ও ২০ শতকে চর্বি ও দাঁতের জন্য সিন্ধুঘোটকদের বাণিজ্যিকভাবে শিকার করা শুরু হয়েছিলো। ফলে সেসময় সিন্ধুঘোটকের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সিন্ধুঘোটকের সংখ্যা বাড়লেও আটলান্টিক ও লাপ্তেভ সাগরে সিন্ধুঘোটকের সংখ্যা এখনও বাড়েনি।