সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা
From Wikipedia, the free encyclopedia
সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা (ইংরেজি: Sub-Saharan Africa) একটি ভৌগোলিক পরিভাষা, যা দিয়ে আফ্রিকা মহাদেশে সাহারা মরুভূমির দক্ষিণে সম্পূর্ণ বা অংশত অবস্থিত দেশগুলিকে বোঝানো হয়।'[2] এর মধ্যে রয়েছে মধ্য আফ্রিকা, পূর্ব আফ্রিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, এবং পশ্চিম আফ্রিকা।
সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা | |
---|---|
সাব-সাহারান আফ্রিকার ভৌগলিক মানচিত্র টেমপ্লেট:কেন্দ্র | |
প্রধান শহর | আবিজান, আবুজা, আকরা, আদিস আবাবা, কেপ টাউন, দার এস সালাম, ডারবান, হারারে, জোহানেসবার্গ, জুবা, কাম্পালা, কিনশাসা, লাগোস, লুয়ান্ডা, লুসাকা, মোগাদিশু, নাইরোবি, প্রিটোরিয়া, উইন্ডহোক |
জনসংখ্যা (২০১৮)[lower-alpha 1] | ১,০৩,৮৬,২৭,১৭৮ |
বিশেষণ | আফ্রিকান |
ধর্ম (২০২০)[1] | |
• খ্রিস্টান ধর্ম | ৬২.০% |
• ইসলাম | ৩১.৪% |
• ঐতিহ্যগত বিশ্বাস | ৩.২% |
• কোন ধর্ম নেই | ৩.০% |
• অন্যান্য | ০.৪% |
ভাষা | ১,০০০টিরও বেশি ভাষা |
ইন্টারনেট TLD | .africa |
|
সাহারা মরুভূমির উত্তরের অঞ্চলকে উত্তর আফ্রিকা বলা হয়, যা সাংস্কৃতিকভাবে আরব বিশ্বের অন্তর্গত।
সাহারা মরুভূমির ঠিক দক্ষিণেই সহিল নামের একটি রূপান্তর-মধ্যবর্তী অঞ্চল (transitional zone) অবস্থিত, যার দক্ষিণে আছে সাভানা তৃণভূমিময় সুদান অঞ্চল। এর দক্ষিণে আছে ক্রান্তীয় অরণ্য ও সাভানা তৃণভূমির মিশ্রণ। আফ্রিকার শিং এবং সুদান রাষ্ট্রের অধিকাংশ ভৌগলিকভাবে সাহার-নিম্ন আফ্রিকার অংশ হলেও এই অঞ্চলে মধ্যপ্রাচ্যের বড় প্রভাব আছে, এবং এগুলিও আরব বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত।
সাহারা-নিম্ন আফ্রিকা কালো আফ্রিকা নামেও পরিচিত, কেননা এখানে আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ অধিবাসীরা বাস করে। এরা মূলত খ্রিস্টধর্মের অনুসারী (অন্যদিকে উত্তর আফ্রিকাতে ইসলামের আধিপত্য নিরঙ্কুশ। ভাষাগত দিক থেকে সাহার-নিম্ন আফ্রিকার অধিকাংশ লোক নাইজার-কঙ্গো ভাষাপরিবারের অন্তর্গত কোন না কোন ভাষাতে কথা বলে।
সামগ্রিকভাবে, ইউএন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম আফ্রিকার ৫৫টি দেশের মধ্যে জিবুতি, এসএডিআর, সোমালিয়া এবং সুদান বাদে ৪৬টিতে "সাব-সাহারান" শ্রেণিবিভাগ প্রয়োগ করে।[3]