সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র
পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বাস্তুতন্ত্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র পৃথিবীর জলজ বাস্তুতন্ত্রের বৃহত্তম। এই বাস্তুতন্ত্রে উচ্চমাত্রায় লবণ থাকায় এটি সাধারণ জলজ বাস্তুতন্ত্র থেকে ভিন্ন। এটি মিঠা পানির বাস্তুসংস্থানের বিপরীত, যার মধ্যে লবণের পরিমাণ কম থাকে। সামুদ্রিক পানি পৃথিবীর পৃষ্ঠের ৭০% এর বেশি জায়গা জুড়ে আবৃত এবং পৃথিবীর পানিচক্রের পানির প্রায় ৯৭% যোগান এখান থেকে আসে।[1][2] আয়তনের দিক থেকে পৃথিবীতে বাসযোগ্য স্থানের পরিমাণ এই বাস্তুতন্ত্র থেকে ৯০ শতাংশ কম।[3] সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে রয়েছে লবণাক্ত জলাভূমি, উপহৃদ, সামুদ্রিক ঘাস, ম্যানগ্রোভ, রকি ইন্টারটিডাল সিস্টেম এবং প্রবাল প্রাচীর। এগুলো উপকূল থেকে বাহিরের দিকে প্রসারিত। সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র জীবের জৈবিক সম্প্রদায় দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এগুলো সরাসরি শারীরিকভাবে এই পরিবেশের সাথে যুক্ত।
সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র বিশ্ব জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশের জন্য বাস্তুতান্ত্রিক সেবা, খাদ্য ও কাজের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের মানব ব্যবহার ও এর দূষণ এই বাস্তুতন্ত্রের স্থিতিশীলতার জন্য উল্লেখযোগ্য হুমকি। উপরন্তু, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মাধ্যমে ধারণ করা উষ্ণতার বেশীরভাগই সমুদ্র দ্বারা শোষিত হয়। এর ফলে সমুদ্র অম্লীকরণের মত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তিত হচ্ছে যা সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। মানব সৃষ্ট হুমকি থেকে সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় "পানির নিচে জীবন"-কে স্লোগান হিসাবে সামনে রেখে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১৪-এর পরিকল্পনা গ্ৰহণ করেছে। এর লক্ষ্য "টেকসই উন্নয়নের জন্য সমুদ্র ও সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই ভাবে এর ব্যবহার করা"।[4]