সাঙ্গীতিক স্বর
From Wikipedia, the free encyclopedia
ঐতিহ্যগতভাবে পশ্চিমা উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে একটি সাঙ্গীতিক স্বর বলতে একটি স্থির পর্যাবৃত্ত ধ্বনিকে বোঝায়। একটি সাঙ্গীতিক স্বরকে এর স্বরস্থায়িত্ব, স্বরতীক্ষ্ণতা, স্বরবিস্তার (বা স্বরতীব্রতা বা স্বরোচ্চতা) এবং স্বরগুণ দ্বারা চরিত্রায়িত করা যায়।[1] স্বরলিপিতে ব্যবহৃত সাঙ্গীতিক স্বরচিহ্নগুলি সাঙ্গীতিক স্বর অপেক্ষা জটিলতর হতে পারে। এগুলিতে অপর্যাবৃত্ত দিক যেমন আক্রমণ ঢাল (attack transients), কম্পমানতা, এবং পর্দা পরিবর্তনের মতো ব্যাপারগুলি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
একটি সরল স্বর বা শুদ্ধ স্বরে একটিমাত্র সাইন-জাতীয় তরঙ্গরূপ থাকে। একটি জটিল স্বর হল দুই বা ততোধিক শুদ্ধ স্বরের সমষ্টি যেগুলির পর্যাবৃত্ত পৌনপুনিক বিন্যাস থাকে।
ফুরিয়ে উপপাদ্য অনুযায়ী যেকোনও পর্যাবৃত্ত তরঙ্গরূপ যতটুকু ইচ্ছা ততটুকু পর্যন্ত কতগুলি সাইন তরঙ্গের ধারা হিসেবে আসন্নীকরণ করা সম্ভব, যেখানে সাইন তরঙ্গগুলির কম্পাঙ্কগুলি গাণিতিকভাবে একটি গুণোত্তর ধারায় অবস্থিত এবং তরঙ্গগুলি একে অপরের সাথে বিশেষ দশা সম্পর্কে আবদ্ধ। সাধারণ হর কম্পাঙ্ক, যেটি প্রায়শই ঐ কম্পাঙ্কগুলির মধ্যে সর্বনিম্ন হয়ে থাকে, সেটিকে মৌলিক কম্পাঙ্ক বলে, এবং এটি তরঙ্গরূপটির বিপরীত। মৌলিক কম্পাঙ্কটি স্বরটির স্বরতীক্ষ্ণতা নির্ধারণ করে, যেটি মানুষ শ্রবণশক্তির মাধ্যমে উপলব্ধি করতে পারে। সঙ্গীতে ভিন্ন ভিন্ন স্বরতীক্ষ্ণতার স্বরগুলিকে স্বতন্ত্র স্বরচিহ্ন দ্বারা নির্দেশ করা হয়, যাতে বাজানো স্বরগুলির স্বরতীক্ষ্ণতা বর্ণনা করা যায়।