সলোমন দ্বীপপুঞ্জ
ওশেনিয়া দ্বীপ সার্বভৌম রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
এই নিবন্ধটি মেলানেশিয়া দ্বীপের দেশ সম্পর্কে। দ্বীপপুঞ্জের জন্য যেখানে বোগেনভিলও রয়েছে, দেখুন সলোমন দ্বীপপুঞ্জ (দ্বীপপুঞ্জ)। সলোমন দ্বীপপুঞ্জ বা সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সাথে বিভ্রান্ত হবেন না।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ | |
---|---|
নীতিবাক্য: "To Lead is to Serve" | |
রাজধানী | হোনিয়ারা ৯°২৮′ দক্ষিণ ১৫৯°৪৯′ পূর্ব |
বৃহত্তম নগরী | capital |
সরকারি ভাষা | ইংরেজি |
নৃগোষ্ঠী (1999) |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | Solomon Islander |
সরকার | Unitary parliamentary constitutional monarchy |
আইন-সভা | National Parliament |
Independence | |
আয়তন | |
• মোট | ২৮,৪০০ কিমি২ (১১,০০০ মা২) (139th) |
• পানি (%) | 3.2% |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৮ আনুমানিক | ৬৫২,৮৫৭ [1][2] (162nd) |
• ঘনত্ব | ১৮.১/কিমি২ (৪৬.৯/বর্গমাইল) (200th) |
জিডিপি (পিপিপি) | 2019 আনুমানিক |
• মোট | $1.479 billion[3] |
• মাথাপিছু | $2,307[3] |
জিডিপি (মনোনীত) | 2019 আনুমানিক |
• মোট | $1.511 billion[3] |
• মাথাপিছু | $2,357[3] |
মানব উন্নয়ন সূচক (2015) | 0.515[4] নিম্ন · 156th |
মুদ্রা | Solomon Islands dollar (SBD) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+11 |
গাড়ী চালনার দিক | left |
কলিং কোড | +677 |
ইন্টারনেট টিএলডি | .sb |
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ: সলোমন দ্বীপপুঞ্জ পাপুয়ানিউগিনির পূর্বে এবং ভানুয়াতুর উত্তর -পশ্চিমে ওশেনিয়ার ছয়টি বড় দ্বীপ এবং ৯০০টিরও বেশি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপ দেশ।এটির স্থলভাগের আয়তন ২৮৪০০বর্গ কিলোমিটার (১১০০০ বর্গমাইল) এবং জনসংখ্যা আনুমানিক ৭০০০০০।এর রাজধানী হোনিয়ারা বৃহত্তম দ্বীপ ওয়াডালকানালে অবস্থিত। সলোমন দ্বীপপুঞ্জের বিস্তৃত এলাকা থেকে এর নাম নেওয়া হয়েছে যেটি মেলানেশীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি সংগ্রহ যা বোগেনভিলির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল (বর্তমানে পাপুয়ানিউগিনির একটি অংশ) অন্তর্ভুক্ত করলেও সান্তাক্রুজ দ্বীপপুঞ্জ বর্জন করে।
৩০০০০ থেকে ২৮৮০০খ্রীস্টপূর্বাব্দের মধ্যে অন্তত কিছু সময় থেকে দ্বীপগুলোতে বসতি স্থাপন করা হয়েছে, পরে অভিবাসীদের ঢল বিশেষ করে ল্যাপিটা জনগণ আধুনিক আদিবাসী সলোমন জনসংখ্যাকে মিশ্রিত ও উৎপাদন করে। ১৫৬৮ সালে স্পেনীয় নাবিক অ্যালভারে ডি মেণ্ডেনা তাদের পরিদর্শনকারী প্রথম ইউরোপীয়।যদিও মেণ্ডানা কর্তৃক নামকরণ করা হয় নি,এটি বিশ্বাস করা হয় যে দ্বীপ গুলোকে ‘দ্য সলোমন্স’ বলা হয়েছিল যারা পরে তাঁর সমুদ্র যাত্রার কথা শুনতে পায় এবং তার আবিষ্কারকে ম্যাপ করে। কয়েক দশক পরে, ১৫৯৫ সালে মেন্ডেলা ফিরে আসেন এবং পর্তুগিজ নাবিক পেদ্রো ফারনান্দেস ডি কুইরোসের নেতৃত্বে আরেকটি স্পেনীয় অভিযান ১৬০৬ সালে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ পরিদর্শন করেন। ১৮৯৩ সালের জুন মাসে ব্রিটেন সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে আগ্রহের ক্ষেত্র সংজ্ঞায়িত করে যখন এইচএমএস কুরাকোয়ার ক্যাপ্টেন গিবসন আর,এন দক্ষিণ সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে ‘ব্রিটিশ প্রটেক্টরেট’ হিসেবে ঘোষণা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সলোমন দ্বীপপুঞ্জের অভিযান (১৯৪২-৪৫) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটিশ কমনওয়েলথ বাহিনী এবং জাপান সাম্রাজ্যের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ দেখেছিল,যার মধ্যে গুয়াডালকানালের যুদ্ধ অন্তর্ভুক্ত ছিল। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক নাম ১৯৭৫ সালে ‘ব্রিটিশ সলোমন আইল্যান্ডস্ প্রটেক্টরেট’ থেকে ‘দ্য সলোমন আইল্যান্ডস্’এ পরিবর্তন করা হয় এবং পরের বছর স্ব-সরকার অর্জন করা হয়।
১৯৭৮ সালে স্বাধীনতার পরে নামটি ডেফিনিট আর্টিকেল ‘দ্য’ ছাড়া ‘সলোমন আইল্যান্ডস’ এ পরিবর্তিত হয়।স্বাধীনতার পরে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত হয়।সলোমন দ্বীপপুঞ্জের রাজা তৃতীয় চার্লস যিনি একজন গভর্নর জেনারেল কর্তৃক দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।