শ্যামপুকুর বাটী
From Wikipedia, the free encyclopedia
শ্যামপুকুর বাটী হল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের একটি শাখাকেন্দ্র। এটি একটি হিন্দু মঠ ও জাদুঘর। শ্যামপুকুর বাটী উত্তর কলকাতার শ্যামপুকুর অঞ্চলে অবস্থিত। ১৮৮৫ সালে দুই মাস রামকৃষ্ণ পরমহংস এই বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। ক্যান্সার ধরা পড়ার পর কলকাতায় থেকে চিকিৎসা করানোর জন্য ২ অক্টোবর তিনি এই বাড়িতে আসেন। ১১ ডিসেম্বর তিনি এই বাড়ি ছেড়ে যান কাশীপুর উদ্যানবাটীতে। রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে সারদা দেবী, স্বামী বিবেকানন্দ (সেই সময় নরেন্দ্রনাথ দত্ত নামে পরিচিত) ও অন্যান্য শিষ্যরাও এই বাড়িতে থাকতেন।[1]
১৮৮৫ সালের ৬ নভেম্বর ছিল কালীপূজা। রামকৃষ্ণ পরমহংস সেইদিন রাতে কালীপূজার আয়োজন করতে বলেছিলেন। সমস্ত উপাচার জোগাড়ের পরও তিনি কালীপূজা করছেন না দেখে গিরিশচন্দ্র ঘোষ প্রমুখ শিষ্যরা তাঁর শরীরেই কালীর পূজা করেন। এই সময় তিনি উঠে দাঁড়িয়ে কালীর মতো বর ও অভয় মুদ্রা প্রদর্শন করেছিলেন। রামকৃষ্ণ ভক্তমণ্ডলীতে এই ঘটনা "বরাভয় লীলা" নামে পরিচিত।[1]
বর্তমানে রামকৃষ্ণ মিশন এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করেছেন। বর্তমানে শ্যামপুকুর বাটী বেলুড় মঠের অধীনস্থ একটি মঠকেন্দ্র ও রামকৃষ্ণ মন্দির। যে ঘরে রামকৃষ্ণ পরমহংস থাকতেন, সেই ঘরটি এখন ঠাকুরঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যে ঘরে সারদা দেবী থাকতেন, সেই ঘরটিকেও ঠাকুরঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই বাড়িতে তাঁর ব্যবহৃত কিছু জিনিস ও কয়েকটি চিত্র রাখা আছে। অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে রয়েছে সেই ক্যামেরার কয়েকটি অংশ, যেটি দিয়ে প্রথম রামকৃষ্ণ পরমহংসের ছবি তোলা হয়েছিল।[1][2]