শহিদ মিনার, কলকাতা
কলিকাতার একটি স্মৃতিসৌধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
শহিদ মিনার হল কলকাতায় অবস্থিত একটি স্মৃতিসৌধ। এই সৌধটির আগে নাম ছিল অক্টারলোনি মনুমেন্ট (ইংরেজি: Ochterlony Monument)। ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কম্যান্ডার মেজর-জেনারেল স্যার ডেভিড অক্টারলোনির স্মৃতিতে এই সৌধটি নির্মিত হয়। ১৮০৪ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে মারাঠাদের বিরুদ্ধে তার সফল আত্মরক্ষা এবং ইঙ্গ-নেপাল যুদ্ধে গোর্খাদের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে কোম্পানির বাহিনীর বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে এই সৌধটি নির্মিত হয়েছিল। সৌধটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন জে পি পার্কার। সরকারি কোষাগারের অর্থসাহায্যে এই সৌধটি নির্মিত হয়।[1] সৌধটির নির্মাণকালীন ব্যয় ছিল ৩৫ হাজার টাকা।[2]
শহিদ মিনার | |
---|---|
প্রাক্তন নাম | অক্টারলোনি মনুমেন্ট |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থা | স্মৃতিসৌধ |
ধরন | স্মৃতিসৌধ |
স্থাপত্য রীতি | নিম্নাংশ: মিশরীয়, স্তম্ভ অংশ: সিরীয়, শীর্ষ অংশ: তুর্কি |
অবস্থান | ময়দান, কলকাতা |
ঠিকানা | ১১, রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ |
শহর | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ |
দেশ | ভারত |
নির্মাণকাজের আরম্ভ | ১৮২৫ |
নির্মাণকাজের সমাপ্তি | ১৮২৮ |
পুনঃসংস্কার | ২০১১-বর্তমান |
স্বত্বাধিকারী | পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
উচ্চতা | ৪৮ মিটার (১৫৭ ফুট) |
নকশা এবং নির্মাণ | |
অন্যান্য নকশাকার | জে. পি. পার্কার |
১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে অগস্ট মাসে তদানীন্তন যুক্তফ্রন্ট সরকার এই স্মৃতিসৌধটিকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নিহত শহিদদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করে। সেই সময় এই সৌধের নতুন নামকরণ করা হয় "শহিদ মিনার"। বর্তমানে সরকার এই সৌধটিকে রাতে আলোকিত করার এবং দর্শকদের এর উপরিভাগে ওঠার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সৌধের শীর্ষভাগে সর্বশেষ উঠেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ও তার পরিবার।[1][3][4]