লুয়ান্ডা
অ্যাঙ্গোলার রাজধানী / From Wikipedia, the free encyclopedia
লুয়ান্ডা ( /luˈændə,
লুয়ান্ডা | |
---|---|
রাজধানী শহর | |
শীর্ষ: অ্যাগোস্টিনহো নেটো মেমোরিয়াল; অ্যাঙ্গোলার জাতীয় সংসদ; সোনাঙ্গল সদর দপ্তর; মাঝে: লুয়ান্ডার দৃশ্য; নিচে: লুয়ান্ডা উপসাগর; অ্যাঙ্গোলা ব্যাংকের সদর দপ্তর | |
অ্যাঙ্গোলায় লুয়ান্ডার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৮°৫০′১৮″ দক্ষিণ ১৩°১৪′৪″ পূর্ব | |
দেশ | অ্যাঙ্গোলা |
প্রদেশ | লুয়ান্ডা |
প্রতিষ্ঠিত | ১৫৭৬ |
আয়তন | |
• রাজধানী শহর | ১১৬ বর্গকিমি (৪৫ বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১,৮৭৬ বর্গকিমি (৭২৪ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬ মিটার (২০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০২০)[1] | |
• রাজধানী শহর | ২৫,৭১,৮৬১[2] |
• মহানগর | ৮৩,৩০,০০০ |
• মহানগর জনঘনত্ব | ৪,৪০০/বর্গকিমি (১২,০০০/বর্গমাইল) |
২০১৯ | |
সময় অঞ্চল | +1 |
HDI (২০১৯) | ০.৬৮৬[3] মধ্যম |
এটি আফ্রিকার প্রাচীনতম ঔপনিবেশিক শহরগুলোর মধ্যে একটি। ১৫৭৬ সালে পর্তুগিজ অভিযাত্রী পাওলো দিয়াস দে নোভায়েস সাও পাওলো দা আসুম্পসাঁও দে লোয়ান্দা নামে শহরটি প্রতিষ্ঠা করেন। দাস ব্যবসায় নিষেধাজ্ঞার আগ পর্যন্ত শহরটি ছিল ব্রাজিলের দাস ব্যবসায়ের কেন্দ্র। ১৯৭৫ সালে অ্যাঙ্গোলার গৃহযুদ্ধ শুরু হলে বেশিরভাগ শ্বেতাঙ্গ পর্তুগিজ লুয়ান্ডা থেকে শরণার্থী হিসেবে পর্তুগালে চলে যায়। [5] যুদ্ধের ফলে অ্যাঙ্গোলার অন্যান্য অঞ্চল থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের মাধ্যমে লুয়ান্ডার জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এর অবকাঠামো ছিল এই ব্যপক বৃদ্ধি সামাল দেওয়ার পক্ষে অপ্রতুল। এর ফলে লুয়ান্ডার আশেপাশে বস্তি বা মুসকেক সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে শহরটি বৃহৎ পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। [6] ফলশ্রুতিতে নগরীর বাহ্যিক চিত্র উল্লেখযোগ্যভাবে বদলে যাচ্ছে।
শহরের উল্লেখযোগ্য শিল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি পণ্য, পানীয় উৎপাদন, টেক্সটাইল, সিমেন্ট, নতুন গাড়ি সমাবেশ প্ল্যান্ট, নির্মাণ সামগ্রী, প্লাস্টিক, ধাতুবিদ্যা, সিগারেট এবং জুতা প্রসেসিং। শহরটিতে একটি তেল শোধনাগার থাকায় এটি তেল সম্পদের কারণে একটি অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসাবেও সুপরিচিত ।[7][8] লুয়ান্ডাকে প্রবাসীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল শহর হিসাবে বিবেচনা করা হয়। [9][10] লুয়ান্ডার বাসিন্দারা বেশিরভাগই আম্বুন্ডু নৃগোষ্ঠীর সদস্য, তবে সাম্প্রতিক সময়ে বাকোঙ্গো এবং ওভিম্বুন্ডুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও এখানে পর্তুগিজদের সমন্বয়ে গঠিত একটি ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীও রয়েছে। ২০১০ সালের আফ্রিকান কাপ অফ নেশনসের খেলাগুলো আয়োজনে লুয়ান্ডা ছিল মূল স্বাগতিক শহর।