লিথুয়ানিয়ার ইতিহাস
ইতিহাসের বিভিন্ন দিক / From Wikipedia, the free encyclopedia
লিথুয়ানিয়ার ইতিহাস হাজার হাজার বছর পুরোনো ইতিহাস।[উল্লেখ করুন][1] লিথুয়ানিয়ায় অনেকগুলি জনবসতি স্থাপন করা হয়েছিল। তবে নথিপত্রে দেশটির নামের প্রথম উল্লেখ দেখা যায় ১০০৯ খ্রিস্টাব্দে।[2] লিথুয়ানিয়ানরা বাল্টিক গোষ্ঠীসমূহের একটি এবং পরবর্তীতে তারা প্রতিবেশী বাল্টিক দেশগুলি জয় করে। লিথুয়ানিয়া ১৩ শতকে লিথুয়ানিয়ার গ্র্যান্ড ডাচি প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে তারা লিথুয়ানিয়ায় একটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। তবে সে রাষ্ট্র কিছুদিন পরেই বিলুপ্তি লাভ করে। তবে লিথুয়ানিয়ার গ্র্যান্ড ডাচি ছিল একটি সফল এবং দীর্ঘস্থায়ী গ্র্যান্ড ডাচি। এটি অত্যন্ত স্বাধীন ছিল এবং এটি ইউরোপের শেষ অঞ্চলসমূহের একটি হিসেবে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করে। উল্লেখ্য, তারা ১৪ শতকের শুরুতে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করতে শুরু করে। একটি শক্তিশালী ডাচি হিসেবে এটি ১৫ শতকে রুথেনিয়ায় বসবাসকারী পূর্ব স্লাভদের বৃহৎ অঞ্চলসমূহ দখল করেছিল এবং ইউরোপের বৃহত্তম রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছিল।[3] ১৩৮৫ সালে, গ্র্যান্ড ডাচি ক্রিও ইউনিয়নের মাধ্যমে পোল্যান্ডের সাথে একটি রাজবংশীয় ইউনিয়ন গঠন করে। পরবর্তীতে, ইউনিয়ন অফ লুবলিন (১৫৬৯) পোলিশ-লিথুয়ানিয়ান কমনওয়েলথ তৈরি করে যা ১৭৯৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিল। তবে পোল্যান্ডের শেষ বিভাজন রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ড উভয়কেই মুছে ফেলেছিল। বিলুপ্তির পরে লিথুয়ানিয়ানরা ২০ শতক পর্যন্ত রাশিয়ান সাম্রাজ্যের শাসনের অধীনে বসবাস করেছিল। তবে রাশিয়ান আমলে বেশ কয়েকটি বড় বিদ্রোহ সংঘটিত হয়েছিল। বিশেষ করে ১৮৩০-১৮৩১ এবং ১৮৬৩ সালে উল্লেখযোগ্য কিছু বিদ্রোহ সংঘটিত হয়।
১৯১৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি লিথুয়ানিয়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শুরু পর্যন্ত স্বাধীন ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি মোলোটভ-রিবেনট্রপ চুক্তির ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ন এর অধীনে চলে আসে। নাৎসিরা সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর সময় নাৎসি জার্মানি লিথুয়ানিয়াকে একটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য দখল করে। পরবর্তীতে লিথুয়ানিয়া আবার প্রায় ৫০ বছর যাবৎ সোভিয়েত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৯০-১৯৯১ সালে লিথুয়ানিয়া রাষ্ট্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা আইনের মাধ্যমে লিথুয়ানিয়ার সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। লিথুয়ানিয়া ২০০৪ সালে ন্যাটো জোটে যোগ দেয়। একই বছর এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নেও যোগদান করেছিল।