রেশম পথ
প্রাচীন বাণিজ্যিক পথ / From Wikipedia, the free encyclopedia
রেশম পথ বা সিল্ক রোড খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত এশিয়ার উপমহাদেশীয় অঞ্চলগুলো মধ্য দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলকে সংযুক্ত করে এই অঞ্চলগুলির মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় মিথস্ক্রিয়াঘটিত একটি প্রাচীন বাণিজ্যিক পথ।[1][2][3] প্রায় ৪০০০ মাইল (৬৫০০ কি.মি.) দীর্ঘ এই পথের নামকরণ করা হয়েছে চীনা সিল্ক ব্যবসার নামে যা হান রাজত্বকালে আরম্ভ হয়েছিলো। যদিও সিল্কই ছিল প্রধান পণ্য, অন্যান্য নানা পণ্যও এই পথে আনা-নেওয়া করা হত।
রেশম পথ | |
---|---|
পথের তথ্য | |
সময়কাল | আনুমানিক ১১৪ বিসিই – ১৪৫০ এর দশক |
প্রাতিষ্ঠানিক নাম | সিল্ক রোড: চাং'আন-তিয়ানশানের রুট |
ধরন | সাংস্কৃতিক |
মানক | ii, iii, iv, vi |
অন্তর্ভুক্তির তারিখ | ২০১৪(৩৮তম অধিবেশন) |
রেফারেন্স নং | 1442 |
অঞ্চল | Asia-Pacific |
চীন, কোরিয়া,[4] জাপান,[2] ভারতীয় উপমহাদেশ, ইরান, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আরবের অন্তরীপ ইত্যাদি সভ্যতাসমূহের মধ্যে দীর্ঘ-দূরত্বে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উদ্বোধন করে, সিল্ক রোড বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।[5] এটি গড়ে ওঠে খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে চীনের হ্যান রাজবংশের আমলে। দশম শতাব্দীতে চীনের সং রাজবংশের আমলে বন্ধ হয়ে যায়। এটি নতুন করে চালুর উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১৪ সালে। উদ্দেশ্য ৩ মহাদেশব্যাপী যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মান ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অঞ্চল ও করিডোর প্রতিষ্ঠা। এর আওতায় রয়েছে ৬৮টি দেশ ও ৬০ শতাংশ জনসংখ্যা ও ৪০ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি। জুন ২০১৪ সালে, ইউনেস্কো সিল্ক রোডের চাং'আন-তিয়ানশান করিডোরকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসাবে স্থান দিয়েছে। ভারতীয় অংশ পরীক্ষামূলক সাইটের তালিকায় রয়েছে।