রূপান্তরিত শিলা
From Wikipedia, the free encyclopedia
রূপান্তরিত শিলা হচ্ছে পাললিক ও আগ্নেয় শিলার পরিবর্তিত রূপ, যা আগ্নেয় ও পাললিক শিলা হতে ভিন্নধর্মী। মূল শিলায় (প্রোটোলিথ) ১৫০ থেকে ২০০ °সে (৩০২ থেকে ৩৯২ °ফা)-এর অধিক তাপমাত্রায় ও উচ্চচাপে (১০০ মেগাpascal (১,০০০ bar) বা আরও বেশি) গভীর শারীরিক বা রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এই প্রক্রিয়া চলাকালীন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিলাগুলো কঠিন অবস্থায় থাকে তবে ধীরে ধীরে একটি নতুন গঠনবিন্যাস বা খনিজ গঠনে পুনঃস্ফটিকবদ্ধ হয়।[1] এই প্রোটোলিথ আগ্নেয় বা পাললিক শিলা, এমনকি পূর্বে বিদ্যমান রূপান্তরিত শিলাও হতে পারে।
রূপান্তরিত শিলা পৃথিবীর ভূত্বকের একটি বড় অংশ তথা ১২% গঠন করে।[2] প্রোটোলিথ, রাসায়নিক এবং খনিজ রূপ এবং গঠনবিন্যাস অনুসারে রূপান্তরিত শিলাকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। সাধারণ শিলা মাটির গভীরে চাপা পড়ে উচ্চ তাপ ও উপরের শিলাস্তরের কারণে সৃষ্ট উচ্চ চাপের প্রভাবে গঠিত হতে পারে। এছাড়াও মহাদেশীয় সংঘর্ষের মতো টেকটোনিক পাত সংস্থান প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট অনুভূমিক চাপ, ঘর্ষণ এবং বিকৃতির মাধ্যমেও রূপান্তরিত শিলা গঠিত হতে পারে। পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে বের হওয়া ম্যাগমা নামক উত্তপ্ত গলিত শিলা প্রবেশের ফলে কোন শিলা উত্তপ্ত হয়ে গেলে স্থানীয়ভাবে রূপান্তরিত শিলা তৈরি হতে পারে। রূপান্তরিত শিলা সম্পর্কিত অধ্যয়ন (বর্তমানে ক্ষয় ও উত্থানের পরে পৃথিবীর পৃষ্ঠে যা প্রকাশিত হয়েছে) পৃথিবীর ভূত্বকের অভ্যন্তরে গভীরতাতে যে তাপমাত্রা এবং চাপ দেখা দেয় সে সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে।
রূপান্তরিত শিলাগুলোর কয়েকটি উদাহরণ হল জিনেস, স্লেট, মার্বেল, শিস্ট এবং কোয়ার্টজাইট। স্লেটও কোয়ার্টজাইট টাইল ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত হয়।[3][4] মার্বেলও ভবন নির্মাণে[5] এবং ভাস্কর্যে ব্যবহারের কারণে বেশ মূল্যবান।[6] তবে, সমজাতীয় পদার্থের রূপান্তর (সমরাসায়নিক রূপান্তর) ছাড়াও শিলার রূপান্তর ঘটতে পারে, অথবা মাত্র কয়েক শত মিটার গভীরতাতেও এমন রূপান্তর ঘটতে পারে যেখানে চাপের পরিমাণ তুলনামূলক কম (উদাহরণ স্বরূপ শিলার স্পর্শ রূপান্তর)।[7]