রুশ–তুর্কি যুদ্ধ (১৮৭৭–১৮৭৮)
From Wikipedia, the free encyclopedia
রুশ–তুর্কি যুদ্ধ (১৮৭৭–১৮৭৮) (তুর্কি: 93 Harbi) ছিল উসমানীয় সাম্রাজ্য এবং রাশিয়া, বুলগেরিয়া, রুমানিয়া, সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রোর সমন্বয়ে গঠিত ইস্টার্ন অর্থোডক্স মৈত্রীজোটের মধ্যে সংঘটিত একটি যুদ্ধ। বলকান ও ককেশাস অঞ্চলে সংঘটিত এই যুদ্ধটির সূচনা হয়েছিল ঊনবিংশ শতাব্দীতে বলকান অঞ্চলে সৃষ্ট জাতীয়তাবাদ থেকে। ক্রিমিয়ার যুদ্ধে হৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধার, কৃষ্ণ সাগরে রুশ শক্তির পুন:প্রতিষ্ঠা এবং বলকানের জাতিগুলোকে মুক্ত করার লক্ষ্যে গঠিত রাজনৈতিক আন্দোলনগুলোকে সমর্থন প্রদান – রাশিয়ার এই লক্ষ্যগুলোও এই যুদ্ধের পেছনে বড় কারণ ছিল।
রুশ–তুর্কি যুদ্ধ (১৮৭৭–১৮৭৮) | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১৮৭৭ সালের আগস্টে শিপকা গিরিপথের যুদ্ধ | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
রাশিয়া রুমানিয়া বুলগেরিয়া সার্বিয়া মন্টেনিগ্রো | উসমানীয় সাম্রাজ্য | ||||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||||
দ্বিতীয় আলেকজান্ডার নিকোলাস নিকোলায়েভিচ মিখাইল নিকোলায়েভিচ মিখাইল লরিস-মেলিকভ মিখাইল স্কবেলেভ ইওসিফ গুর্কো আইভান লাজারেভ প্রথম ক্যারোল আলেকজান্ডার অফ ব্যাটেনবার্গ কোস্তা প্রোতিচ প্রথম নিকোলাস |
দ্বিতীয় আব্দুল হামিদ আহমেদ পাশা ওসমান পাশা সুলেইমান পাশা মেহমেদ পাশা আব্দুলকরিম পাশা আইয়ুব পাশা রেজা পাশা | ||||||||
শক্তি | |||||||||
২,৬০,০০০ সৈন্য[1] ৬৬,০০০ সৈন্য ১২,০০০ সৈন্য ৮১,৫০০ সৈন্য ৪৫,০০০ সৈন্য ১৯০টি কামান | ২,৮১,০০০ সৈন্য[2] | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
১৫,৫৬৭ সৈন্য নিহত[3] ৬,৮২৪ সৈন্য আঘাতপ্রাপ্তির কারণে নিহত ৮১,৩৬৩ সৈন্য রোগের কারণে মৃত ১,৭১৩ সৈন্য অন্যান্য কারণে মৃত ৫৬,৬৫২ সৈন্য আহত[3] ৩,৫০০ সৈন্য নিখোঁজ ৩৫,০০০ সৈন্য দলত্যাগী ৪,৩০২ সৈন্য নিহত অথবা নিখোঁজ[4] ৩,৩১৬ সৈন্য আহত[4] ১৯,৯০৪ সৈন্য রোগাক্রান্ত[4] ২,৪৫৬ সৈন্য নিহত অথবা আহত[5] ২,৪০০ সৈন্য নিহত অথবা আহত[5] |
৩০,০০০ সৈন্য নিহত[6] ৯০,০০০ সৈন্য আঘাতপ্রাপ্তির কারণে অথবা রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত[6] |
রুশ-নেতৃত্বাধীন জোটটি যুদ্ধে বিজয়ী হয়। এর ফলে রাশিয়া ককেশাস অঞ্চলে কার্স ও বাটুমসহ বেশ কয়েকটি উসমানীয় প্রদেশ দখল করে নিতে সক্ষম হয়, এবং বুদজাক অঞ্চলটিও দখল করে নেয়। রুমানিয়া, সার্বিয়া ও মন্টিনিগ্রো আনুষ্ঠানিকভাবে উসমানীয় সাম্রাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। প্রায় পাঁচ শতাব্দীব্যাপী উসমানীয় শাসনের (১৩৯৬–১৮৭৮) পর বুলগেরীয় রাষ্ট্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং এর সীমা দানিয়ুব নদী থেকে বলকান পর্বতমালা পর্যন্ত বিস্তৃত হয় (কেবল উত্তর দব্রুজা অঞ্চলটি রুমানিয়ার অন্তর্গত হয়), এবং সোফিয়া অঞ্চলটিও রাষ্ট্রটির অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৮৭৮ সালের বার্লিন সম্মেলন অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরিকে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং গ্রেট ব্রিটেনকে সাইপ্রাস দখলের সুযোগ করে দেয়।