রিপাবলিকান পার্টি (যুক্তরাষ্ট্র)
মার্কিন রাজনৈতিকদল / From Wikipedia, the free encyclopedia
রিপাবলিকান পার্টি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক দল। এই দলকে জিওপি (GOP) বা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি হিসেবেও অভিহিত করা হয়। ঐতিহাসিকভাবেই এই দলের প্রতিদ্বন্দ্বী হলো ডেমোক্রেটিক পার্টি।
রিপাবলিকান পার্টি | |
---|---|
সভাপতি | রোনা ম্যাকড্যানিয়েল (মিশিগান) |
রাষ্ট্রপতি | ডোনাল্ড ট্রাম্প (নিউ ইয়র্ক) |
উপ-রাষ্ট্রপতি | মাইক পেন্স (ইন্ডিয়ানা) |
হাউস লিডার | স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি (ক্যালিফোর্নিয়া) |
সিনেট লিডার | মেজোরিটি লিডার মিচ ম্যাককোনেল (কেন্টাকি) |
চেয়ার অব গভর্নরস অ্যাসোসিয়েশ্যান | ডাগ ডুসি (অ্যারিজোনা) |
প্রতিষ্ঠা | ২০ মার্চ ১৮৫৪; ১৭০ বছর আগে (1854-03-20) |
পূর্ববর্তী | হুইগ পার্টি ফ্রী সয়েল পার্টি পিপল'স পার্টি |
সদর দপ্তর | ৩১০ ফার্স্ট স্ট্রিট এসই ওয়াশিংটন ডি. সি. ২০০০৩ |
ছাত্র শাখা | কলেজ রিপাবলিকান্স |
যুব শাখা | ইয়াং রিপাবলিকান্স টিন এইজ রিপাবলিকান্স |
মহিলা শাখা | ন্যাশনাল ফেডারেশন অব রিপাবলিকান উইমেন |
বৈদেশিক শাখা | রিপাবলিকান্স ওভারসিস |
সদস্যপদ (২০২০) | ৩,৩২,৮৪,০২০[1] |
ভাবাদর্শ | সংখ্যাধিক্য: রক্ষণশীলতা[2] অর্থনৈতিক উদারনীতি[3] রাজকোষ রক্ষণশীলতা সামাজিক রক্ষণশীলতা[4] সংখ্যালঘু: ডানপন্থা[5][6] কেন্দ্রপন্থী রাজনীতি[7][8] |
ইউরোপীয় অধিভুক্তি | অ্যালায়েন্স অব ইউরোপিয়ান কনজার্ভেটিভস অ্যান্ড রিফরমিস্ট[9] (আঞ্চলিক অংশীদার) |
আন্তর্জাতিক অধিভুক্তি | ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্রেট ইউনিয়ন |
আঞ্চলিক সংযুক্তিকরণ | এশিয়া প্যাসিফিক ডেমোক্রেট ইউনিয়ন[10] |
আনুষ্ঠানিক রঙ | Red |
সিনেটে আসন | ৫১ / ১০০ |
হাউসে আসন | ২১১ / ৪৩৫ |
রাজ্যপাল-শাসন | ৩১ / ৫০ |
রাজ্য উচ্চকক্ষে আসন | ১,০৮০ / ১,৯৭২ |
রাজ্য নিম্নকক্ষে আসন | ২,৭৭৩ / ৫,৪১১ |
স্থানিক রাজ্য-শাসন | ১ / ৬ |
আঞ্চলিক উচ্চ চেম্বার আসন | ১২ / ৯৭ |
আঞ্চলিক নিম্ন চেম্বার আসন | ১৪ / ৯১ |
নির্বাচনী প্রতীক | |
ওয়েবসাইট | |
www |
এ পর্যন্ত ১৯ জন প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে আছেন রিপাবলিকান দল থেকে প্রথম নির্বাচিত হওয়া ১৬ তম মার্কিন রাষ্ট্রপতি অ্যাব্রাহাম লিংকন যিনি ১৮৬১ সাল থেকে ১৮৬৫ সালে আততায়ীর হাতে খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োজিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে রিপাবলিকান দল থেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে আসীন ছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তার দাপ্তরিক কাজ শুরু করেন।
প্রজাতন্ত্রের (রিপাবলিকানিজম) নামানুসারে এবং মার্কিন বিপ্লবের মূল্যবোধ থেকেই রিপাবলকান পার্টির নামকরণ করা হয়। মূলত দাস-প্রথা বিরোধী সক্রিয় কর্মী, হুইগ পার্টির (১৯ দশকের একটি মার্কিন রাজনৈতিক দল) ও ফ্রি সয়েল পার্টির (১৮৪৮ সাল থেকে ১৮৫২ পর্যন্ত স্বল্প-স্থায়ী একটি মার্কিন রাজনৈতিক দল) প্রাক্তন নেতা-কর্মীদের দ্বারা গঠিত রিপাবলিকান দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতীয়ভাবে বেশ প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক পার্টি। ১৮৬০ থেকে ১৯৩২ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে উত্তরের অঙ্গরাজ্যগুলো রিপাবলিকান দল কর্তৃক ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিলো।
রিপাবলিকান পার্টির বর্তমান ভাবাদর্শ হলো মার্কিন রক্ষণশীলতা[11][12][13] নীতি। এই নীতি রিপাবলিকান দলের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেটিক পার্টির উদারপন্থা মতবাদ বিরোধী। রিপাবলিকান দলের কর্মপন্থা মূলত মুক্ত বাজার পুঁজিবাদ, শক্তিশালী প্রতিরক্ষা নীতি, বিনিয়ন্ত্রণ (অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অঙ্গরাজ্যসমূহের আইন লঘু করার পদ্ধতি) নীতি, সামাজিক রক্ষণশীল নীতি (বিশেষভাবে গর্ভপাত এবং সমকামীদের বিবাহ বিরোধিতা) এবং ঐতিহ্যগত মার্কিন মূল্যবোধ সমর্থিত। অতীতে এই দলের সমর্থন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্ব রাজ্য (কানেক্টিকাট, মেইন, ম্যাসাচুসেট্স, নিউ হ্যাম্প্শায়ার, নিউ জার্সি, পেন্সিল্ভেনিয়া, নিউ ইয়র্ক, রোড আইল্যান্ড, ভার্মন্ট) এবং মধ্য-পশ্চিম (মিশিগান, ইন্ডিয়ানা, ক্যান্সাস, মিসৌরি, উইসকনসিন, আইওয়া, ইলিনয়, নর্থ ডাকোটা, নেব্রাস্কা, ওহাইও, সাউথ ডাকোটা এবং মিনেসোটা) রাজ্যগুলোতে জুড়ে থাকলেও বর্তমানে দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলো (ফ্লোরিডা, টেনেসি, আর্কানসাস, লুইজিয়ানা, ক্যান্টাকি, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ক্যারোলাইনা, অ্যালাবামা, মিসিসিপি এবং পশ্চিম ভার্জিনিয়া) এবং মাউন্টেন অঙ্গরাজ্যসমূহে (আইডাহো, ওয়াইয়োমিং, অ্যারিজোনা, কলোরাডো, নিউ মেক্সিকো, নেভাডা ও ইউটা) রিপাবলিকানদের সমর্থন বিস্তৃত। ক্যাথলিক[14][15][16] এবং ইভাঞ্জিলিক্যাল খ্রিস্টানরাই রিপাবলিকানদের সিংহভাগ সমর্থনকারী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং সিনেটে রিপাবলিকান দল বর্তমানে সংখ্যালঘু। [17][18]