রিকেটস্
From Wikipedia, the free encyclopedia
রিকেটস্ (বাংলা ভাষায় পেঁচোয় পাওয়া রোগ [5]) হল একটা শারীরিক অবস্থা যার ফলে শিশুদের হাড়গুলো নরম ও দুর্বল হয়।[1] উপসর্গগুলো দেখা যায়: পা বাঁকা, শরীরের বৃদ্ধি থেমে যায়, হাড়ের যন্ত্রণা, কপাল বড়ো, এবং ঘুমের ব্যাঘাত।[1][2] আরো জটিলতাসহ হাড় ভাঙা, পেশি জড়িয়ে যাওয়া, একটা অস্বাভাবিক বাঁকা শিরদাঁড়া, অথবা বৌদ্ধিক অসামর্থ্য।[1][2]
অতি সাধারণ কারণ হল ভিটামিন ডি ঘাটতি[1] এটা ঘটতে পারে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি ছাড়া খাবার, কালো চামড়া, সামান্য সূর্যালোকপ্রাপ্তি, শুধুমাত্র স্তনদুগ্ধ পান, কোনো বিকল্প ভিটিমিন ডি খাবার ছাড়া, সেলিয়াক রোগ, এবং বিশেষ জেনেটিক অবস্থাসমূহ।[1][2] অন্যান্য কারণগুলো সম্ভবত যথেষ্ট ক্যালসিয়াম অথবা ফসফরাসএর অভাব।[3][4] মূলগত কারিগরির সঙ্গে বৃদ্ধি প্রক্রিয়ায় ক্যালসিয়াম তৈরি যথেষ্ট না-হওয়া।[6] রোগনির্ণয় সাধারণত নির্ভর করে রক্ত পরীক্ষা করে দেখা ক্যালসিয়াম ঘাটতি, ফসফরাস ঘাটতি এবং উচ্চ অ্যালকালাইন ফসফেট এর সঙ্গে এক্স-রেজ।[1]
রিকেটস্ | |
---|---|
![]() | |
দুবছর বয়সী রিকেটস্ রোগীর মার্কাসহ ঊরুদ্বয়ের হাড় এবং ক্ষয়ে যাওয়া হাড় ঘনত্বএর এক্স-রে | |
উচ্চারণ | |
বিশেষত্ব | শিশুরোগ-চিকিৎসা |
লক্ষণ | বাঁকা পা, শরীরের বৃদ্ধি লোপ, হাড় ব্যথা, বড়ো কপাল, ঘুমের ব্যাঘাত[1][2] |
জটিলতা | হাড় ভাঙা, পেশির খিঁচুনি, শিরদাঁড়া অস্বাভাবিক বাঁকা, বৌদ্ধিক অসামর্থ্য[2] |
রোগের সূত্রপাত | শৈশব[2] |
কারণ | খাবারে যথেষ্ট ভিটামিন ডি অথবা ক্যালসিয়াম না-থাকা, কালো চামড়া, সামান্য সূর্যালোকপ্রাপ্তি, কোনো বিকল্প ভিটামিন ডি-যুক্ত খাবার ছাড়া শুধুমাত্র স্তনদুগ্ধ পান, সেলিয়াক রোগ, বিশেষ জেনেটিক অবস্থাসমূহ।[1][2][3] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে[1] |
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় | ফ্যাঙ্কোনি সিনড্রোম, স্কার্ভি, লোয়ে সিনড্রোম, ওস্টেয়োমলেসিয়া[2] |
প্রতিরোধ | শুধুমাত্র স্তন্যপায়ী শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডিয়ের বিকল্প জোগান[4] |
চিকিৎসা | ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম[1] |
সংঘটনের হার | সাধারণভাবে দেখা যায় (মধ্য প্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়া)[3] |
শুধুমাত্র স্তন্যপায়ী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ হয় বিকল্প ভিটামিন ডি দিয়ে।[4] চিকিৎসা নির্ভর করে নিম্নলিখিত কারণে:[1] যদি ভিটামিন ডি ঘাটতি থেকে হয়, চিকিৎসা হল সচরাচর ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম দিয়ে।[1] এর ফল সাধারণভাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া যায়।[1] হাড়ের বৈকল্যও সময় বিশেষে ভালো হয়ে যায়।[4] ঘটনাচক্রে হাড়ের বিকলাঙ্গতা ঠিক করতে শল্যচিকিৎসা করা হতে পারে।[2] প্রজননগত কাঠামোর রোগে আলাদাভাবে বিশেষ চিকিৎসার দরকার হয়।[4]
রিকেটস্ আপেক্ষিকভাবে সাধারণত দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এবং এশিয়ায়।[3] এটা সাধারণত কিছু সংখ্যালঘু বর্গ ছাড়া আমেরিকা এবং ইউরোপে দেখা যায়না।[2][3] এটা শৈশবে বৈশিষ্ট্যগতভাবে শুরু হয় ৩ থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে।[2][3] ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে এই রোগ সমহারে দেখা যায়।[2] খ্রিস্টীয় প্রথম শতক থেকে রোগ হিসেবে রিকেটস্এর ধারণা এবং বর্ণনা হয়ছিল,[7] এবং এটা রোমান সাম্রাজ্যতে ছড়িয়ে পড়েছিল।[8] রোগটা সাধারণ্যে আসে বিশ শতকএ।[7] শুরুতে চিকিৎসা ছিল কড লিভার অয়েলএর ব্যাবহার।[7]