রক্তকাশি
From Wikipedia, the free encyclopedia
রক্তকাশি বা হিমপ্টিসিস (ইংরেজি: Hemoptysis) হলো ক্লোম-শাখা বা ব্রঙ্কাস, স্বরযন্ত্র, শ্বাসনালি অথবা ফুসফুস থেকে কাশির সাথে রক্ত বা রক্ত মিশ্রিত শ্লেষ্মা নির্গত হওয়া। ফুসফুসের ক্যান্সার, সংক্রমণ যেমন যক্ষ্মা, ব্রঙ্কাইটিস অথবা নিউমোনিয়া ও কিছু হৃৎপিণ্ডের রোগে এটা হতে পারে। রক্তকাশি হতে পারে অল্প, কেবল কফের সাথে উজ্জ্বল রক্তের দাগযুক্ত, অথবা ব্যাপক। ব্যাপক রক্তকাশি বলতে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্ততপক্ষে ৬০০ মি.লি. রক্তক্ষরণ কে বুঝায় যা ৩ থেকে ১০ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ঘটে থাকে।[1] ফুসফুসে রক্ত কয়েক দিন ধরে থাকলে ঘন লাল জমাট রক্ত বের হতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে সর্বদা গুরুতর ক্ষত হয়ে থাকে। প্রাথমিকভাবে রক্তপাতের চেয়ে শ্বাসরোধ থেকেই বিপদের ঝুঁকি বেশি।[2] নিম্ন শ্বসন পথ ভিন্ন অন্য কোনো উৎস থেকে রক্ত নির্গত হলে তাকে সিউডোহিমপ্টিসিস বলে। এক্ষেত্রে রোগী রক্তের উৎস ঠিকমতো বর্ণনা করতে না পারলে রোগ নির্ণয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। সিউডোহিমপ্টিসিস হতে পারে যখন মুখবিবর, নাসারন্ধ্র, গলবিল অথবা জিহ্বা থেকে নির্গত রক্ত কণ্ঠের পশ্চাতে লাগার কারণে প্রতিবর্তী ক্রিয়ার মাধ্যমে কাশি শুরু হয় অথবা যখন রক্তবমনের রোগীদের বমনের ফলে নির্গত রক্ত নিম্ন শ্বসন পথে চলে যায়। মুখবিবর ও গলবিলে Serratia marcescens নামক লোহিত রঞ্জক উৎপাদনকারী গ্রাম-ঋণাত্মক দণ্ডাকৃতির বায়ুজীবী জীবাণু সংক্রমণ ঘটালে কফ লাল রঙের হয় যা রক্তকাশির সাথে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।[1]
হিমপ্টিসিস | |
---|---|
প্রতিশব্দ | রক্তকাশি |
পুনঃপুন হিমপ্টিসিস হওয়ার অন্যতম কারণ হলো ক্লোম-শাখার প্রদাহ। বাম পাশের নিম্নাংশ: ক্লোম-শাখার প্রদাহে রক্তাক্ত শ্লেষ্মা বের হতে পারে। | |
উচ্চারণ | |
বিশেষত্ব | পালমোনোলজি |
লক্ষণ | কাশির সাথে রক্ত বা রক্তমিশ্রিত শ্লেষ্মা |
কারণ | ব্রঙ্কাইটিস, ফুসফুস ক্যান্সার |