যক্ষ্মা
মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামের জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ / From Wikipedia, the free encyclopedia
যক্ষ্মা (ইংরেজি: Tuberculosis) একটি সংক্রামক রোগ যার কারণ মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামের জীবাণু।[8] ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত হয় এক কোটি মানুষ এবং মারা যায় ১৫ লাখ মানুষ ৷ [9]
যক্ষ্মা | |
---|---|
প্রতিশব্দ | পিথিসিস, পিথিসিস পালমোনালিস, কানসাপমশান |
বুকের এক্সরেতে যক্ষ্মা | |
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ, পালমোনোলজি |
লক্ষণ | দীর্ঘস্থায়ী কাশি, জ্বর, রক্তাক্ত শ্লেষ্মার সাথে কাশি, ওজন হ্রাস[1] |
কারণ | মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস[1] |
ঝুঁকির কারণ | ধূমপান, এইচআইভি [1] |
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় | নিউমোনিয়া, হিস্টোপ্লাজমোসিস, স্যারকয়ডোসিস, কমিডিওয়ডোমাইটোসিস[2] |
প্রতিরোধ | উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে যারা স্ক্রীনিং, আক্রান্তদের চিকিৎসা, ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুয়েরিন (বিসিজি) টিকাদান[3][4][5] |
চিকিৎসা | অ্যান্টিবায়োটিকস[1] |
সংঘটনের হার | ২৫% লোক (সুপ্ত টিবি)[6] |
মৃতের সংখ্যা | ১.৫ মিলিয়ন (২০২০)[7] |
"যক্ষ্মা" শব্দটা এসেছে "রাজক্ষয়" থেকে। ক্ষয় বলার কারণ এতে রোগীরা খুব শীর্ণ (রোগা) হয়ে পড়েন ।
যক্ষ্মা প্রায় যেকোনও অঙ্গে হতে পারে (ব্যতিক্রম কেবল হৃৎপিণ্ড, অগ্ন্যাশয়, ঐচ্ছিক পেশী ও থাইরয়েড গ্রন্থি)। যক্ষ্মা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফুসফুসে। গরুর দুধ পাস্তুরায়ণ প্রচলনের আগে অন্ত্রেও অনেক বেশি হত।
টিকা বা ভ্যাকসিনেশন-র মধ্যে দিয়ে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা যায়।[10]
যক্ষা রোগের লক্ষণসমূহ :
১। রোগীর ওজন কমতে থাকে, আস্তে আস্তে শরীর দুর্বল হতে থাকে।
২। সাধারণত তিন সপ্তাহের বেশি সময় কাশি থাকে।
৩। খুশখুসে কাশি হয় এবং কখনো কখনো কাশির সাথে রক্ত যায়।
৪। রাতে ঘাম হয়, বিকেলের দিকে জ্বর আসে, দেহের তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়ে না।
৫।বুকে পিঠে ব্যথা হয়।