মৎস্য
ভগবান বিষ্ণুর মৎস্য অবতার / From Wikipedia, the free encyclopedia
মৎস্য (সংস্কৃত: मत्स्य, অর্থাৎ মাছ) হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর কূর্ম-এর পূর্ববর্তী মাছ রূপের অবতার।[2] প্রায়শই বিষ্ণুর দশটি প্রাথমিক অবতারের মধ্যে প্রথম হিসাবে বর্ণনা করা হয়। মৎস্য প্রথম মানুষ মনুকে একটি মহাপ্রলয় থেকে উদ্ধার করেছিলেন বলে বর্ণনা করা হয়েছে।[3] মৎস্যকে একটি সোনালি রঙের দৈত্যাকার মাছ হিসাবে চিত্রিত করা যেতে পারে অথবা নৃতাত্ত্বিকভাবে বিষ্ণুর ধড় একটি মাছের নিম্নাংশ অর্ধেকের সাথে সংযুক্ত।
মৎস্য | |
---|---|
দশাবতার গোষ্ঠীর সদস্য | |
অন্তর্ভুক্তি | বিষ্ণু’র অবতার |
মন্ত্র | ওঁ নমো ভগবতে মৎস্য দেবায় |
অস্ত্র | সুদর্শন চক্র, কৌমোদকী |
উৎসব | মৎস্য জয়ন্তী |
সঙ্গী | লক্ষ্মী[1] |
মৎস্যের প্রাচীনতম বিবরণ শতপথ ব্রাহ্মণে পাওয়া যায়, যেখানে মৎস্য কোনো নির্দিষ্ট দেবতার সঙ্গে যুক্ত নয়। মৎস্য-ত্রাতা পরবর্তীকালে বৈদিক-উত্তর যুগে ব্রহ্মার পরিচয়ের সাথে মিশে যায় এবং তারও পরে বিষ্ণুর সাথে মিশে যায়। মৎস্যের সাথে সম্পর্কিত কিংবদন্তিগুলো হিন্দু গ্রন্থে প্রসারিত, বিকশিত এবং পরিবর্তিত হয়েছে।
মৎস্য মনুকে বিধ্বংসী বন্যা সম্পর্কে পূর্বসতর্ক করে এবং তাকে পৃথিবীর সমস্ত শস্য ও জীবসমূহকে একটি নৌকায় জড়ো করতে বলে। বন্যার ক্ষণ উপস্থিত হলে মৎস্য মনু, সপ্তর্ষি ও জিনিসপত্র সমেত নৌকাটিকে টেনে নিয়ে রক্ষা করে। কিন্তু কাহিনীর পরবর্তী সংস্করণে দেখানো হয়েছে, পবিত্র বেদগুলো একটি অসুর চুরি করে এবং মৎস্য ঐ অসুরকে বধ করে বেদ উদ্ধার করেন।
গল্পটি মহাপ্লাবনের পৌরাণিক কাহিনীর প্রধান প্রসঙ্গের সাথে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বিভিন্ন সংস্কৃতিতে সাধারণ।