ম্যারি টড লিংকন
From Wikipedia, the free encyclopedia
ম্যারি অ্যান টড লিংকন (ইংরেজি: Mary Ann Todd Lincoln; ১৩ ডিসেম্বর ১৮১৮ - ১৬ জুলাই ১৮৮২) ১৮৬১ থেকে ১৮৬৫ সালে তার স্বামী মার্কিন রাষ্ট্রপতি আব্রাহাম লিংকন আততায়ীর হাতে খুন হওয়া পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি ছিলেন।[1]
ম্যারি টড লিংকন | |
---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি | |
দায়িত্বরত ৪ মার্চ ১৮৬১ – ১৫ এপ্রিল ১৯৬৫ | |
রাষ্ট্রপতি | আব্রাহাম লিংকন |
পূর্বসূরী | হ্যারিয়েট লেন (ভারপ্রাপ্ত) |
উত্তরসূরী | এলাইজা জনসন |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ম্যারি অ্যান টড (১৮১৮-১২-১৩)১৩ ডিসেম্বর ১৮১৮ লেক্সিংটন, কেন্টাকি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ১৬ জুলাই ১৮৮২(1882-07-16) (বয়স ৬৩) স্প্রিংফিল্ড, ইলিনয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
সমাধিস্থল | লিংকন টুম্ব |
দাম্পত্য সঙ্গী | আব্রাহাম লিংকন (বি. ১৮৪২; মৃত্যু ১৮৬৫) |
সন্তান |
|
পিতামাতা | রবার্ট স্মিথ টড এলিজাবেথ অ্যান পার্কার টড |
স্বাক্ষর |
ম্যারি বড় ও ধনাঢ্য ক্রীতদাস মালিক কেন্টাকি পরিবারের সদস্য ছিলেন। তিনি সুশিক্ষিত ছিলেন। তার জন্মনাম ম্যারি অ্যান টড হলেও তার ছোট বোন অ্যান টড (পরবর্তীকালে ক্লার্ক) জন্মগ্রহণ করার পর তার নাম থেকে অ্যান বাদ দিয়ে দেন। কৈশোরে বিদ্যালয়ের পাঠ গ্রহণ শেষ হওয়ার পর তিনি ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের স্প্রিংফিল্ডে তার বিবাহিত বোন এলিজাবেথ এডওয়ার্ডসের সাথে বাস করতেন। আব্রাহাম লিংকনের সাথে বিবাহের পূর্বে তিনি আব্রাহামের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ স্টিফেন এ. ডগলাসের প্রণয়প্রার্থী ছিলেন। ম্যারি লিংকন তার স্বামীকে তার রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে গেছেন এবং মার্কিন গৃহযুদ্ধের সময় জাতীয় ঐক্য সমুন্নত রাখতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি বিলাসবহুল বলনৃত্য ও বিপুল খরচ করে হোয়াইট হাউজ সাজানোর মাধ্যমে হোয়াইট হাউজের সামাজিক কার্যকলাপের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন; তার ব্যয় আতঙ্কের সৃষ্টি করত। ১৮৬৫ সালের ১৪ই এপ্রিল ওয়াশিংটন, ডি.সি.'র টেন্থ স্ট্রিটের ফোর্ড্স থিয়েটারের প্রেসিডেন্ট্স বক্সে আব্রাহাম লিংকন আততায়ীর হাতে খুন হওয়ার সময় ম্যারি তার পাশেই বসে ছিলেন।
লিংকন দম্পতির চার পুত্র ছিল, তন্মধ্যে শুধু বড় পুত্র রবার্ট বেঁচে ছিলেন। বাকি পুত্ররা তার জীবদ্দশায় মারা যান। ম্যারি লিংকন বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেন। তার প্রায়ই মাইগ্রেনের ব্যাথা দেখা দিত, যা মূলত ১৮৬৩ সালে মাথায় আঘাতের ফলে হয়েছিল। তিনি জীবনের অনেকটা সময় হতাশায় কাটিয়েছেন, কিছু ইতিহাসবিদ মনে করেন তিনি দ্বিপ্রান্তিক ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। ১৮৭৫ সালে স্বল্প সময়ের জন্য তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু পরে তাকে তার বোনের বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি ১৮৮২ সালে ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।