মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা
একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপক। / From Wikipedia, the free encyclopedia
সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা (১ মে ১৯৩৪ - ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯) ছিলেন একজন বাঙালি শিক্ষাবিদ এবং অধ্যাপক।[1] তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (তৎকালীন রিডার) ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব পালনকালে ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ সালে আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আক্রমণের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন তিনি।
সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুজ্জোহা | |
---|---|
(১৯৩৪-০৫-০১)১ মে ১৯৩৪ – ফেব্রুয়ারি ১৮, ১৯৬৯( ১৯৬৯-০২-১৮) | |
জন্ম তারিখ | (১৯৩৪-০৫-০১)১ মে ১৯৩৪ |
জন্মস্থান | বাঁকুড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু তারিখ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯(1969-02-18) (বয়স ৩৪) |
মৃত্যুস্থান | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ |
আন্দোলন | ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান |
দাম্পত্য সঙ্গী | নিলুফার জোহা |
পিতামাতা | মুহম্মদ আব্দুর রশীদ (পিতা) |
ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে তিনি দেশের জনগণকে পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে দৃঢ়ভাবে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি, ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান, ১৫ ফেব্রুয়ারি, সার্জেন্ট জহুরুল হক এবং ১৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক শহীদ শামসুজ্জোহার মৃত্যু দেশেবাসীকে স্বাধীনতা আন্দোলনের দিকে ধাবিত করে। শামসুজ্জোহাকে দেশের প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে গন্য করা হয়। বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময়ও তিনি প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।