মোহাম্মদ আহমাদ
সুদানের শাসক / From Wikipedia, the free encyclopedia
মোহাম্মদ আহমাদ বিন আব্দ আল্লাহ (আরবি: محمد أحمد ابن عبد الله; ১২ আগস্ট, ১৮৪৪ – ২২ জুন, ১৮৮৫) ছিলেন একজন নুবিয়ান সুফি দরবেশ। তিনি সুন্নি ইসলাম অধ্যয়ন করেছিলেন। তিনি মোহাম্মদ আহমাদ নামেই পরিচিত। ১৮৮১ সালে তিনি নিজেকে মাহদি বলে দাবি করেন এবং সুদানে উসমানীয়-মিশরীয় সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন এবং খার্তুমের অবরোধে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে একটি অসাধারণ বিজয় অর্জন করেন। তিনি লোহিত সাগর থেকে মধ্য আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি সুবিশাল ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং একটি আন্দোলন গড়ে তোলেন যা এক শতাব্দী পরেও সুদানে এর প্রভাব ছিল।
এই নিবন্ধে তথ্যসূত্রের একটি তালিকা রয়েছে, কিন্তু উক্ত তালিকায় পর্যাপ্ত সংগতিপূর্ণ উদ্ধৃতির অভাব বিদ্যমান। (ফেব্রুয়ারি ২০২৩) |
মোহাম্মদ আহমাদ | |||||
---|---|---|---|---|---|
সুদানের শাসক | |||||
রাজত্ব | ১৮৮১–১৮৮৫ | ||||
উত্তরসূরি | আবদুল্লাহি ইবনে মুহাম্মদ (খলিফা) | ||||
জন্ম | (১৮৪৪-০৮-১২)১২ আগস্ট ১৮৪৪ লাবাব দ্বীপ, তুর্কি সুদান, মিশর এয়ালেত | ||||
মৃত্যু | ২২ জুন ১৮৮৫(1885-06-22) (বয়স ৪০) খার্তুম, মাহদীয় রাজ্য | ||||
সমাধি | ওমদুরমান, সুদান | ||||
|
১৮৮১ সালের জুন মাসে মাহদিবাদ রাষ্ট্রের ঘোষণার পর থেকে ১৮৯৮ সালের শেষ পর্যন্ত তার ক্রমবর্ধমান সমর্থক সুদানী আনসারের এর অনেক ধর্মতাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৮৫ সালের ২২ জুন মুহাম্মদ আহমাদের মৃত্যুর পর তার প্রধান ডেপুটি আবদুল্লাহি ইবনে মুহাম্মদ এই রাষ্ট্রের শাসনভার গ্রহণ করেন।
আহমাদের মৃত্যুর পর আবদুল্লাহি খলিফা হিসেবে শাসন করেন। কিন্তু তার স্বৈরাচারী শাসন সেইসাথে সরাসরি ব্রিটিশ সামরিক শক্তি প্রয়োগ ১৮৯৯ সালে অ্যাংলো-মিশরীয় সুদান বিজয়ের পর এই রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে দেয়। তা সত্ত্বেও আহমাদ ইতিহাসে একটি সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে রয়ে গেছেন। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে তার একজন প্রত্যক্ষ বংশধর সাদিক আল-মাহদি, দুবার সুদানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন (১৯৬৬-১৯৬৭ এবং ১৯৮৬-১৯৮৯) এবং তিনি গণতান্ত্রিক নীতি অনুসরণ করেন।