মুহাম্মাদ বিন কাসিম
উমাইয়া সেনাপতি / From Wikipedia, the free encyclopedia
ইমাদুদ্দীন মুহাম্মদ বিন কাসিম আস সাকাফি (আরবি: عماد الدين محمد بن القاسم الثقفي; ৩১ ডিসেম্বর, ৬৯৫–১৮ জুলাই, ৭১৫) ছিলেন একজন উমাইয়া সেনাপতি ও মুসলিম বিজেতা।[1] তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তর্ভুক্ত সিন্ধু নদসহ সিন্ধু এবং মুলতান জয় করে তা ইসলামি উমাইয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্ত করেন।[2] তার সিন্ধু বিজয়ের ফলে মুসলিমদের জন্য ভারত বিজয়ের পথ প্রশস্ত হয়। বিন কাসিম ৭১২ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তৎকালীন রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধু জয় করেন।[3][4] দাহির সিন্ধি ব্রাহ্মণ রাজবংশের শেষ শাসক ছিল এবং তারপর সিন্ধু ইসলামি খিলাফতের অংশ হয়। পরাজিত হওয়ার পর দাহিরের শিরশ্ছেদ করা হয় এবং তার মাথা বসরার গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফের কাছে পাঠানো হয়। মুসলিম বাহিনী সিন্ধুর রাজধানী আরোর দখলের সাথে সাথে মোহাম্মদ বিন কাসিম প্রথম মুসলিম বিজেতা হন, যিনি সফলভাবে ভারতীয় ভূমি দখল করেন।[5][6][7][8][9][10][11][12][13]
ইমামুদ্দীন মুহাম্মদ বিন কাসিম আস সাকাফি عماد الدين محمد بن القاسم الثقفي | |
---|---|
স্থানীয় নাম | عماد الدين محمد بن القاسم الثقفي |
জন্ম | ৩১ ডিসেম্বর ৬৯৫ তাইফ, আরব উপদ্বীপ |
মৃত্যু | ১৮ জুলাই ৭১৫ (২০ বছর) মসুল, ইরাক |
আনুগত্য | হাজ্জাজ বিন ইউসুফ, উমাইয়া খলিফা প্রথম আল ওয়ালিদের গভর্নর |
পদমর্যাদা | সেনাপতি |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | সিন্ধু ও মুলতান জয় এবং তা উমাইয়া খিলাফতের অন্তর্ভুক্তিকরণ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জয়নব বিনতে হাজ্জাজ বিন ইউসুফ |
সম্পর্ক |
|
মোহাম্মদ বিন কাসিম বনু সাকিফের অন্তর্গত ছিলেন। এটি একটি আরব উপজাতি ছিল, যা পশ্চিম আরবের তায়েফ শহরের চারপাশে বসবাস করতো। তার পিতা আল কাসিম বিন ইউসুফ তার বাল্যকালেই মারা যান। তারপর থেকে তার চাচা উমাইয়া গভর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তাকে লালনপালন করেন। তিনি মোহাম্মদকে যুদ্ধবিদ্যা ও সরকার পরিচালনা শিক্ষা দেন।[5][4]
মুসলিমদের পারস্য বিজয়ের পর তিনি তার ছোট চাচা মুহাম্মদ বিন ইউসুফ আস সাকাফির স্থলাভিষিক্ত হয়ে ফার্সের গভর্নর হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ৭০৮ থেকে ৭১১ সাল পর্যন্ত তিনি সিন্ধু বিজয়ের নেতৃত্ব দেন এবং বিজয় অর্জন হওয়ার পর তিনি সমগ্র অঞ্চলে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। ৭১২ থেকে ৭১৫ সাল তার মৃত্যু হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সিন্ধুর গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইরাকের ওয়াসিত শহরে মৃত্যুবরণ করেন এবং ওয়াসিতেই তার সমাধি রয়েছে বলে কিছু বর্ণনায় পাওয়া যায়।[14][15] তবে কিছু সুত্রের দাবি হল, তার মৃতদেহ বেলুচিস্তানের উপকূলীয় অঞ্চলের আধা-মরুভূমি মাক্রানে সমাহিত করা হয়েছিল। এর সমর্থনে কোনো শক্তিশালী ও প্রমাণিত সূত্র পাওয়া যায়নি।[8]