মুহাম্মাদের বিরুদ্ধ সমালোচনা
From Wikipedia, the free encyclopedia
মুহাম্মাদের বিরুদ্ধ সমালোচনা সপ্তম শতক থেকেই বিদ্যমান। যখন মুহাম্মদ একেশ্বরবাদ প্রচার শুরু করেন তখন আরবের অমুসলিমরা নিন্দা জ্ঞাপন করে। তিনি বাইবেলে বর্ণিত বিভিন্ন ব্যক্তি ও তাদের যেভাবে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তা বাদ দিয়ে নতুনভাবে তাদের উপস্থাপন করেন,[2] হিব্রু বাইবেলে সর্বশেষ নবীর আভির্ভাবের যে ধরনা দেওয়া হয়েছে তার পরিবর্তে কোন ধরনের অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন ব্যতীত তিনি নিজেকে ‘সর্বশেষ নবী’ হিসেবে দাবী করেন।[2] যার ফলশ্রুতিতে, আরবের ইহুদীরা তাকে অবমানকার একটি ডাকনাম প্রদান করে যা ‘হা-মেশোগা’ (হিব্রু ভাষায়: מְשֻׁגָּע, "পাগল" বা "যার উপর ভূত ভর করেছে")।[3][4][5] মধ্যযুগে পশ্চিমা এবং বাইজেন্টাইন অনেক খ্রিস্টান চিন্তাবিদ মুহাম্মদকে বিকৃত, দুর্ভাগ্যজনক মানুষ, ভ্রান্ত ভাবাদর্শে বিশ্বাসী, এমনকি খ্রিস্টের শত্রু হিসাবে বিবেচনা করত।[6][7][8][9] এদের মধ্যে টমাস আকুইনাস ইসলামে বর্ণিত মৃত্যু পরবর্তী জীবনে ‘শারীরীক আনন্দের’ ব্যাপারটিকে সমালোচনা করেন।[8]
এই নিবন্ধটির তথ্যসমূহের যথার্থতা সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে। |
আধুনিক সমালোচকগণ মুহাম্মাদের নিজেকে নবী হিসেবে দাবীর সত্যতা, তার নৈতিকতা, তার অধীনস্থ দাসী, শত্রুদের সঙ্গে তার আচরণ, তার বিয়েসমূহ, তার মতবাদসমূহের বিশ্লেষণ এবং তার মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা নিয়ে সমালোচনা করেন।[10][11][12][13][14][15]
মুহাম্মদের ডানাওয়ালা গাধায় চড়ে চাঁদে গিয়ে চাঁদকে বিভক্ত করার দাবি বরাবর-ই সমালোচিত। ২০১৬ সালে অ্যাপোলো মিশনের চাঁদের পৃষ্ঠে ৩০০ কিমি দীর্ঘ ফাটল রেখার ছবি প্রকাশিত হওয়ার পর,[16] কিছু ইন্টারনেট সাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে মুসলমানদের দ্বারা দাবি করা হয়েছিল যে এটি কুরআনে উল্লেখিত বিভক্তির ফলাফল।[17][18] ২০১০ সালে, নাসা বিজ্ঞানী ব্র্যাড বেইলিকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এবং উত্তর দিয়েছিলেন "আমার সুপারিশ হল আপনি ইন্টারনেটে যা কিছু পড়েন তা বিশ্বাস করবেন না। পিয়ার-পর্যালোচিত জার্নাল আছে বহু, সেগুলো-ই মূলত নতুন কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্যের একমাত্র বৈজ্ঞানিকভাবে বৈধ উৎস। বর্তমান কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে চাঁদ দুটি (বা ততোধিক) অংশে বিভক্ত করা হয়েছিল এবং তারপরে অতীতের যেকোনো সময়ে পুনরায় একত্রিত করা হয়েছিল।"[19]