মুরগি
গৃহপালিত প্রাণী (পাখী) / From Wikipedia, the free encyclopedia
মুরগি গৃহপালিত পাখিদের মধ্যে অন্যতম। এর মাংস ও ডিম প্রোটিনের অন্যতম উৎস। এরা ১০–১২ ফুটের বেশি উড়তে পারে না। একবারে ১২-২০ টি ডিম পাড়ে ও তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়। যার জীবনকাল ৫–১০ বছর।
মুরগী | |
---|---|
মোরগ (বামে) ও মুরগি (ডানে) | |
পোষ মানা | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | গ্যালিফর্মিস |
পরিবার: | ফাসিয়ানিডা |
উপপরিবার: | ফাসিয়ানিনা |
গণ: | গ্যালাস |
প্রজাতি: | গ্যালাস গ্যালাস |
উপপ্রজাতি: | গ্যালাস গ্যালাস ডোমেস্টিকাস (লিনিয়াস, ১৭৫৮) |
২০১৮ সালের হিসাবে সারা পৃথিবীতে ২৩.৭ বিলিয়ন তথা ২৩৭০ কোটি মুরগি ছিল। যেটি কিনা সারা বিশ্বের সকল মানুষের প্রায় ৩গুন। [1] পূর্বে ২০১১ সালে ১৯ কোটিরও বেশি ছিল। অন্য সব পাখির চাইতে মুরগির সংখ্যা বেশি।
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার মতে বন্য মুরগিকে পোষ মানিয়ে গৃহপালিত করার কাজটা প্রথম হয়েছিলো ভারতীয় উপমহাদেশে। তবে শুরুতে তা করা হয়েছিলো খাদ্যের জন্য না, বরং মোরগ লড়াই এর জন্য।[2] ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে মুরগিপালন ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিম এশিয়ার পারস্য রাজ্য লিডিয়াতে। খ্রিস্টপূর্ব ৫ম শতকে গ্রিসে সেখান থেকে মুরগি আমদানি করা হয়।[3] মিশরে মুরগিপালন শুরু হয় সেখানকার ১৮শ রাজবংশের সময়কালে, আর ৩য় তুতমোসের সময়ের ইতিহাস অনুসারে এই প্রথা এসেছিল সিরিয়া ও ব্যাবিলন হয়ে। আসিল, ফাউমি, রোড আইল্যান্ড রেড, সোনালী, হোয়াইট লেগহর্ন ইত্যাদি উল্লেখযগ্য। চট্টগ্রাম এলাকায় মুরগি নামে অবিহিত করা হয়।[4]