মার্সেলো মালপিজি
ইতালীয় চিকিৎসক / From Wikipedia, the free encyclopedia
মার্সেলো মালপিজি (১০ মার্চ ১৬২৮-২৯ নভেম্বর ১৬৯৪) একজন ইতালীয় জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক ছিলেন। তিনি আণুবীক্ষণিক শারীরবিদ্যা ও টিস্যুতত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা এবং শারীরবিদ্যা ও ভ্রূণতত্ত্বের জনক। ক্ষরণতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গাণুর নাম তার নামে নামকরণ করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মালপিজীয় নালিকা ও মালপিজীয় পিরামিড। উদ্ভিদবিজ্ঞানে মালপিজিয়াসিয়ে গোত্রের নামকরণও তার নামানুসারে করা হয়েছে। তিনিই সর্বপ্রথম কৈশিক নালি পর্যবেক্ষণ করেন। ইয়ান সোয়ার্মডামের পরে তিনিই প্রথম অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে লোহিত রক্ত কণিকা পর্যবেক্ষণ করেন। তার রচনা "ডি পলিপো কর্ডিস"(১৬৬৬) রক্তের গঠন বুঝতে সাহায্য করে। রক্ত তঞ্চন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান লাভেও রচনাটি সহায়তা করে। তিনি সেখানে বর্ণনা করেন, হৃৎপিণ্ডের বাম ও ডান পার্শ্বে রক্ত তঞ্চন প্রক্রিয়া কীভাবে ভিন্ন হয়।[1]
ডক্টর অব মেডিসিন মার্সেলো মালপিজি | |
---|---|
জন্ম | (১৬২৮-০৩-১০)১০ মার্চ ১৬২৮ ক্রেভালকোর, পোপীয় সাম্রাজ্য |
মৃত্যু | ২৯ নভেম্বর ১৬৯৪(1694-11-29) (বয়স ৬৬) রোম, পোপীয় সাম্রাজ্য |
জাতীয়তা | ইতালীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | বোলোনা বিশ্ববিদ্যালয় |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | শারীরবিদ্যা, টিস্যুতত্ত্ব, ভ্রূণতত্ত্ব, চিকিৎসাবিদ্যা |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | বোলোনা বিশ্ববিদ্যালয় পিসা বিশ্ববিদ্যালয় মেসিনা বিশ্ববিদ্যালয় |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | জিওভান্নি বোরেলি |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | আন্তোনিও মারিও ভালসালভা |
অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে মালপিজি বুঝতে সক্ষম হন, অমেরুদণ্ডী প্রাণী ফুসফুস নয়, বরঞ্চ ট্রাকিয়া নামে দেহত্বকে অবস্থিত ছোট গর্তের সাহায্যে শ্বসনকার্য চালায়।[2] মালপিজি মস্তিষ্কের শারীরতত্ত্ব সম্পর্কে বিস্তারিত অধ্যয়ন করেন। মালপিজির মতে, মস্তিষ্ক প্রকৃতপক্ষে একটি গ্রন্থি (যদিও মস্তিষ্ক ও গ্রন্থি এক জিনিস নয়)। তবে আধুনিক প্রাণরসবিদ্যার তত্ত্ব অনুযায়ী, মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস হরমোন ক্ষরণকারী অঙ্গাণু হিসেবে স্বীকৃত।
উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞানে মালপিজির ব্যাপক জ্ঞান ছিল। লন্ডনের রাজকীয় সমিতি ১৬৭৫ ও ১৬৭৯ সালে দুই খণ্ডে উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণিবিজ্ঞানের উপর মালপিজির রচনা প্রকাশ করে। ১৬৮৭ ও ১৬৯৭ সালে এর উন্নততর সংস্করণ প্রকাশিত হয়।