মানব করোটি
From Wikipedia, the free encyclopedia
মানব দেহের পরিণত করোটি সাধারণত ২৯টি হাড় নিয়ে গঠিত। ম্যাণ্ডিবল ছাড়া করোটির অন্য সব হাড় সুচার সন্ধি দ্বারা সংযুক্ত থাকে। অনড় সংযোগসমূহ হাড়গত অসিফিকেশনের মাধ্যমে তৈরি হয় এবং শারপির তন্তু এতে কিছু নমনীয়তা দান করে।
আটটি হাড় নিয়ে করোটিকা বা নিউরোক্র্যানিয়াম (neurocranium) গঠিত হয় যা প্রতিরোধকারী ভল্ট হিসেবে মস্তিষ্ক ও এর নিম্নাংশকে সংরক্ষণ করে। চৌদ্দটি হাড় মিলে মুখমণ্ডল গঠিত হয় যাকে স্প্লানচোক্রানিয়াম splanchnocranium বলে। টেম্পোরাল হাড় এর ভিতরে আবৃত অবস্থায় ছয়টি অডিটরি অসিকল থাকে। ল্যারিঙ্কসকে শক্তি প্রদান করা হাইওয়েড অস্থিকে সাধারণত করোটির অন্তর্ভুক্ত করা হয় না কেননা এটি একমাত্র হাড় যা অন্যান্য করোটির হাড়ের সাথে যুক্তাবস্থায় থাকে না।
করোটিতে সাইনাস গর্ত বা সাইনাস ক্যাভিটি থাকে যেগুলো শ্বসন বা রেসপিরেটরি এপিথেলিয়ামের সাথে যুক্ত থাকে। সাইনাসটির সঠিক কার্যাবলি নিয়ে বিতর্ক আছে, এরা শক্তির সামান্য তারতম্যের মাধ্যমে মস্তিষ্কের ওজনের হ্রাস ঘটাতে সমর্থ হয়, কণ্টস্বরের রেজোনেন্স তৈরিতে এদের অবদান আছে এবং নাসারন্ধ্রের ভিতর দিয়ে আসা বাতাসকে গরম ও আর্দ্র করতে তারা অবদান রাখে।
মেনিঞ্জেস হল তিনটি প্রলেপ বিশিষ্ট সংযোগকারী টিস্যু যা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কাঠামো ঘিরে থাকে। প্রতিটি স্তর যা বাইরে থেকে যথাক্রমে ডুরা মেটার, আরাকনয়েড মেটার ও পিয়া মেটার নামে পরিচিত তারা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক স্তর ও শারীরিক কার্যাবলী পালন করে থাকে।