মাজারে কায়েদ
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সমাধিসৌধ / From Wikipedia, the free encyclopedia
মাজারে কায়েদ (উর্দু: مزارِ قائد; সিন্ধি: قائد جو مقبرو; আক্ষ. 'নেতার সমাধিসৌধ'), জিন্নাহ সমাধি বা 'জাতীয় সমাধি নামেও পরিচিত, সিন্ধুর করাচিতে অবস্থিত মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর বিশ্রামস্থল। মার্বেলের স্মৃতিস্তম্ভটি ৩,১০০ বর্গমিটার (৩৩,০০০ বর্গফুট) আয়তনের এলাকা নিয়ে গঠিত। এটি আনুষ্ঠানিক বাগান দ্বারা বেষ্টিত ও একটি ইসলামি আধুনিকতাবাদী শৈলীতে নকশা করা হয়েছে।[1] ১৯৪৮ সালে জিন্নাহর মৃত্যুর পর, তার সমাধিটি একটি ছোট গম্বুজ দ্বারা আবৃত ছিল ও খারাপ অবস্থায় ছিল। ১৯৫৭ সালে পাকিস্তান সরকার সমাধির নকশার জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। বিজয়ী উইলিয়াম হুইটফিল্ডের নকশা বিশিষ্ট স্বাতন্ত্র্য অর্জন করে, যদিও তার কাজ জিন্নাহর বোন ফাতেমা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি জনসাধারণের সমর্থন চেয়েছিলেন ও পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে জিন্নাহর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইয়াহিয়া মার্চেন্টের নকশা অনুমোদন করেন। ১৯৭১ সালে সমাধিটির নির্মাণ সমাপ্ত হয় ও পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়া খান এর উদ্বোধন করেন।
মাজারে কায়েদ | |
---|---|
مزارِ قائد قائد جو مقبرو | |
সাধারণ তথ্য | |
ধরন | সমাধিসৌধ |
স্থাপত্য রীতি | ইসলামি আধুনিকতাবাদী |
অবস্থান | করাচি, পাকিস্তান |
স্থানাঙ্ক | ২৪°৫২′৩১″ উত্তর ৬৭°০২′২৭″ পূর্ব |
নির্মাণকাজের আরম্ভ | ৩১ জুলাই ১৯৬০ |
উদ্বোধন | ১৮ জানুয়ারি ১৯৭১ (1971-01-18) |
গ্রাহক | পাকিস্তান সরকার |
উচ্চতা | ৪৩ মিটার (১৪১ ফু) |
কারিগরী বিবরণ | |
তলার আয়তন | ৩,১০০ বর্গমিটার (৩৩,০০০ ফু২) |
নকশা এবং নির্মাণ | |
স্থপতি | ইয়াহিয়া মার্চেন্ট |
মাজারে কায়েদকে পাকিস্তানের অন্যতম আইকনিক স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জিন্নাহর সাথে, এখানে পাকিস্তান আন্দোলনের আরও অনেক কর্মীর কবর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যার ফলে এটি দেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের জন্য একটি সাধারণ জায়গা হয়ে উঠে।