মরিশাস
ভারত মহাসাগরে আফ্রিকার দ্বীপের সার্বভৌম রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
মরিশাস (/məˈrɪʃ(i)əs,
যুক্ত মরিশাস দিনপঞ্জি
| |
---|---|
মরিশাস প্রজাতন্ত্রের দ্বীপপুঞ্জ (চাগোস দ্বীপপুঞ্জ এবং ট্রোমেলিন দ্বীপ বাদে) | |
কালো লেবেলযুক্ত মরিশাস প্রজাতন্ত্রের দ্বীপপুঞ্জ; Chagos Archipelago এবং Tromelin মরিশাস দ্বারা দাবি করা হয় | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | পোর্ট লুইস ২০.২° দক্ষিণ ৫৭.৫° পূর্ব / -20.2; 57.5 |
সরকারি ভাষা | নেই (de jure) ইংরেজি (de facto) ফরাসি (de facto)[Note 1][2] |
কথ্য ভাষা[Note 2][3] | |
নৃগোষ্ঠী |
|
ধর্ম (২০১১ আদমশুমারী)[5] |
|
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | মরিশিয়ান |
সরকার | একক সংসদীয় প্রজাতন্ত্র |
• রাষ্ট্রপতি | পৃথ্বীরাজসিংহ রূপন |
• উপ রাষ্ট্রপতি | এডি বোইসেজন |
• প্রধানমন্ত্রী | প্রবিন্দ জগন্নাথ |
• জাতীয় পরিষদের স্পিকার | সুরুজদেব ফকির |
আইন-সভা | জাতীয় পরিষদ |
স্বাধীন যুক্তরাজ্য থেকে | |
• মরিশাসের সংবিধান | ১২ই মার্চ ১৯৬৮ |
• প্রজাতন্ত্র | ১২ই মার্চ ১৯৯২ |
আয়তন | |
• মোট | ২,০৪০ কিমি২ (৭৯০ মা২) (১৭০ তম) |
• পানি (%) | ০.০৭ |
জনসংখ্যা | |
• ২০১৯ আনুমানিক | ১,২৬৫,৪৭৫[6] (১৫৮ তম) |
• ২০১১ আদমশুমারি | ১,২৩৭,০৯১[3] |
• ঘনত্ব | ৬১৮.২৪/কিমি২ (১,৬০১.২/বর্গমাইল) (১০ম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০১৯ আনুমানিক |
• মোট | $৩১.৭০৫ বিলিয়ন[7] (১৩৩ তম) |
• মাথাপিছু | $২৫,০২৯[7] (৬১ তম) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০১৯ আনুমানিক |
• মোট | $১৪.৮১২ বিলিয়ন[7] (১২৯ তম) |
• মাথাপিছু | $১১,৬৯৩[7] (৬৪ তম) |
জিনি (২০১৭) | ৩৬.৮[8] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (২০২০) | ০.৮০৪[9] অতি উচ্চ · ৬৬ তম |
মুদ্রা | মরিশিয়ান রুপি (MUR) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+৪ (MUT) |
তারিখ বিন্যাস | দিন/মাস/বছর (AD) |
গাড়ী চালনার দিক | বাম |
কলিং কোড | +230 |
ইন্টারনেট টিএলডি | .mu |
দেশটিতে মরিশাস নামের একটি বৃহৎ দ্বীপ (আয়তন ১৮৬৫ বর্গকিলোমিটার) আছে, যার পূর্বে রোদ্রিগেস নামের আরেকটি দ্বীপ (১০৪ বর্গকিলোমিটার), উত্তর-পূর্বে কার্গাদোস কারাজোস (সেন্ট ব্র্যান্ডন) নামের কিছু চড়া এবং ৫০০ কিলোমিটার উত্তরে আগালেগা নামের ক্ষুদ্র দ্বীপপুঞ্জ আছে।[10][11] সব মিলিয়ে দেশটির আয়তন প্রায় ২০৪০ বর্গকিলোমিটার (ঢাকা নগরীর প্রায় ৭ গুণ বা কলকাতা নগরীর প্রায় ১০ গুণ)। এছাড়া দ্বীপটি ২৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট একটি একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের অধিকারী।[12] এছাড়া মরিশাস উত্তর-পূর্বের চাগোস দ্বীপপুঞ্জ ও পূর্বের ত্রোমলাঁ দ্বীপটিকে নিজের বলে দাবী করে।
মূল মরিশাস দ্বীপটি একটি আগ্নেয় দ্বীপ যেটি চারপাশে প্রবালপ্রাচীর দিয়ে বেষ্টিত। রাজধানী পোর্ট লুইসে একটি চমৎকার প্রাকৃতিক পোতাশ্রয় আছে যাতে মহাসমুদ্রগামী জাহাজগুলি নোঙর ফেলতে পারে। ভৌগোলিকভাবে এটি মাসাকারিন দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত একটি দ্বীপ, যাতে রদ্রিগেস দ্বীপ ও ফরাসি রেউনিওঁ দ্বীপটি অন্তর্ভুক্ত। উত্তর-দক্ষিণে ৬১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৪৭ কিলোমিটার প্রশস্ত এই দ্বীপটির উত্তরভাগে একটি সরু সমতল নিম্নভূমি আছে যেখানে দ্বীপের অধিবাসীদের সিংহভাগ বাস করে। দ্বীপের মধ্যভাগে একটি উঁচুভূমি ও দক্ষিণে একটি পার্বত্য অঞ্চল অবস্থিত। দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে এর সর্বোচ্চ পর্বতটি অবস্থিত, যার নাম পিতোঁ দ্য লা প্যতিত রিভিয়ের নোয়ার (উচ্চতা ৮২৮ মিটার)। দ্বীপের মধ্যভাগে বেশকিছু হ্রদ রয়েছে, যাদের মধ্যে ভাকোয়াস হ্রদ দ্বীপটির স্বাদু পানির প্রধান উৎস। এখানকার জলবায়ু উপক্রান্তীয় ধরনের এবং আবহাওয়া সারাবছর সুষমভাবে উষ্ণ (গড়ে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ও আর্দ্র থাকে, তবে মধ্যভাগে উচ্চভূমিতে তাপমাত্রা কিছুটা কম। বাৎসরিক গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ উপকূলে প্রায় ১০০০ মিলিমিটার এবং মালভূমি অঞ্চলে ৫০০০ মিলিমিটার। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল মাসে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বেশি থাকে এবং এই মৌসুমে প্রায়ই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ঘটে। মধ্যভাগের উচ্চভূমি থেকে বেশ কিছু পাহাড়ি নদী উপকূলের দিকে প্রসারিত হয়েছে। দ্বীপটির প্রধান নদীটির নাম গ্র্যান্ড রিভার, যেটি দ্বীপের জলবিদ্যুতের সিংহভাগ যোগান দেয়। মরিশাস দ্বীপটির অভ্যন্তরভাগ অতীতে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃক্ষের অরণ্যে আবৃত ছিল; এর পর এই বনগুলির সিংহভাগই কেটে ফেলা হয় এবং এগুলিকে চিনি উৎপাদনকারী আখের খামার দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। এছাড়া এখানে বাঁশের ঝাড়, নারকেল গাছ ও আবলুস গাছ দেখা যায়। মরিশাসের অনন্য কিছু প্রাণীর মধ্যে লম্বা লেজবিশিষ্ট সম্বর হরিণ ও তেনরেক নামের একটি কাঁটালো স্তন্যপ্রায়ী প্রাণী উল্লেখযোগ্য। এখানে ডোডো নামের একটি উড়তে অক্ষম ও বৃহৎ পাখির বাস ছিল, কিন্তু ১৬৮১ সালের আগেই শেষ ডোডোটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।