মঙ্গল শোভাযাত্রা
বাংলাদেশের বাংলা নববর্ষবরণ উৎসব / From Wikipedia, the free encyclopedia
মঙ্গল শোভাযাত্রা প্রতি বছর বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনে আয়োজিত একটি নতুন বর্ষবরণ উৎসব। বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে বাংলাদেশের ঢাকা শহরে এটি প্রবর্তিত হয়। একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ উৎসব হিসাবে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।[1]
মঙ্গল শোভাযাত্রা | |
---|---|
অবস্থা | সক্রিয় |
ধরন | আনন্দ শোভাযাত্রা |
তারিখ (সমূহ) | ১৪ এপ্রিল (বাংলা পঞ্জিকার ১ম দিন) |
পুনরাবৃত্তি | বার্ষিক |
অবস্থান (সমূহ) | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস |
স্থানাঙ্ক | ২৩.৭৩৩২৪২° উত্তর ৯০.৩৯০৯২১৮° পূর্ব / 23.733242; 90.3909218 |
দেশ | বাংলাদেশ |
কার্যকাল | ১৯৮৯- বর্তমান |
আয়োজক | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ |
পহেলা বৈশাখের আনন্দ শোভাযাত্রা | |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
ধরন | সামাজিক চর্চা, অনুষ্ঠান এবং উৎসব ঘটনা |
মানদণ্ড | ??? |
সূত্র | 01091 |
ইউনেস্কো অঞ্চল | AP |
অন্তর্ভূক্তির ইতিহাস | |
অন্তর্ভূক্তি | ২০১৬ (১১তম অধিবেশন) |
তালিকা | প্রতিনিধিত্বমূলক |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সহোযোগীতায় প্রতিবছরই পহেলা বৈশাখে ঢাকা শহরের শাহবাগ-রমনা এলাকায় এই আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।[2] শোভাযাত্রায় চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন স্তরের ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ অংশগ্রহণ করে। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন ধরনের প্রতীকী শিল্পকর্ম বহন করা হয়। এছাড়াও বাংলা সংস্কৃতির পরিচয়বাহী নানা প্রতীকী উপকরণ, বিভিন্ন রঙ-এর মুখোশ ও বিভিন্ন প্রাণীর প্রতিকৃতি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়। তবে একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকে প্রায় প্রতি জেলাসদরে এবং বেশ কিছু উপজেলা সদরে পহেলা বৈশাখে ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ আয়োজিত হওয়ায় ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ বাংলাদেশের নবতর সর্বজনীন সংস্কৃতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর মানবতার অধরা বা অস্পর্শনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।[3][4]