ভুটানের সংস্কৃতি
From Wikipedia, the free encyclopedia
হিমালয় পর্বতমালার কোলে শায়িত ভুটান তার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নিজেকে বাইরের সাংস্কৃতিক প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পেরেছে। ভুটান একটি জনবিরল দেশ, এটির দক্ষিণে ভারত সীমান্ত এবং উত্তরে গণচীনের সীমান্ত। দেশটি তার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং স্বাধীনতা রক্ষার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে কঠোর বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতি অনুসরণ করে। শুধুমাত্র বিংশ শতাব্দির শেষ শতক থেকে সীমিত সংখ্যক বিদেশীদেরকে ভুটান ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়। এই পদ্ধতির ফলে ভুটান সফলভাবে তাদের সংস্কৃতির অনেক দিক রক্ষা করতে সক্ষম হয়, যা মধ্য-সপ্তদশ শতাব্দির সংস্কৃতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
ভুটানের আধুনিক সংস্কৃতি তাদের প্রাচীন সংস্কৃতি থেকে আহরিত। এই সংস্কৃতি দেশটির প্রাথমিক ক্রমবিকাশকে প্রভাবান্বিত করে। জংখা ভাষা এবং শারচপ ভাষা ভুটানের প্রধান ভাষা, এ দুটো ভাষা তিব্বতি ভাষার সাথে ঘনিষ্টভাবে সম্পর্কিত। ভুটানি ভিক্ষুরা তিব্বতি ভাষার একটা ভিন্ন সংস্করণ লেখা পড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেন, যেটি চকি নামে পরিচিত। ভুটানিরা দৈহিক দিক থেকে তিব্বতিদের অনুরূপ, কিন্তু তারা কখন হিমালয় অতিক্রম করে দক্ষিণের উপত্যকায় বসতি স্থাপন করে, তা ইতিহাসে উল্লেখ নেই। তিব্বতি এবং ভুটানি, উভয় জাতিই তান্ত্রিক গুরু পদ্মসম্ভবকে শ্রদ্ধা করে, যিনি অষ্টম শতাব্দিতে হিমালয়ান বৌদ্ধ ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন।