ব্যবহারকারী:Hasan S. Rahat/খেলাঘর
From Wikipedia, the free encyclopedia
হচ্ছে একটি অণু যেটি বেশিরভাগ জেনেটিক নির্দেশনা বহন করে যা পরিচিত সকল জীবের অনেক ভাইরাসের বিকাশ এবং কার্যকারিতায় ভূমিকা রাখে। ডিএনএ হচ্ছে একটি নিউক্লিক এসিড; প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট এর পাশাপাশি, নিউক্লিক এসিড তিনটি প্রধান বৃহদ অণু গঠন করে যা পরিচিত সকল ধরনের জীবন এর জন্য অপরিহার্য। বেশিরভাগ ডিএনএ দুই ধরনের বায়োমার সূত্রক দ্বারা গঠিত যেগুলো দ্বিসূত্রক প্যাঁচানো সিঁড়ির ন্যায় গঠন সৃষ্টি করে। এই ডিএনএ সূত্রক দুটিকে বলা হয় পলিনিউক্লিউটাইড এবং এরা যে মনোমার দ্বারা গঠিত তাকে বলা হয় নিউক্লিওটাইড। প্রতিটি নিউক্লিওটাইড নাইট্রোজেন বাহিত নিউক্লিয়বেস হয় গুয়ানিন (G), এডেনিন (A), থায়ামিন অথবা সাইটোসিন এছাড়াও ডিঅক্সিরাইবোজ নামক মনোস্যাকারাইড শ্যুগার এবং ফসফেট গ্রুপ দ্বারা গঠিত। নিউক্লিওটাইড গুলো পরস্পর সমযোজী বন্ধন দ্বারা গঠিত যেখানে একটি নিউক্লিওটাইড এর শ্যুগার গ্রুপটি অন্যটির ফসফেট গ্রুপের সাথে যুক্ত যা একটি পর্যায়ক্রমিক শ্যুগার-ফসফেট ভিত্তিবন্ধন (সিঁড়ির হাতল) সৃষ্টি করে। ক্ষারজোড় এর নিয়ম অনুযায়ী (A এর সাথে T, C এর সাথে G), হাইড্রোজেন বন্ধন দুটি আলাদা পলিনিউক্লিওটাইডের নাইট্রোজেন বেস গুলোকে যুক্ত করে দ্বিসূত্রক ডিএনএ দৃষ্টি করে।
ডিএনএ জৈবিক তথ্য (চুলের রং, উচ্চতা, দেহের রং ইত্যাদি) সংরক্ষণ করে। ডিএনএ এর ভিত্তিটি বিভাজন প্রতিরোধী, দ্বিসূত্রক গঠনের উভয় সূত্রকই অভিন্ন জৈবিক তথ্য সংরক্ষণ করে। জৈবিক তথ্য প্রতিলিপিত হয় যখন সূত্রক গুলো পৃথক হয়ে পরে। ডিএনএ এর উল্লেখযোগ্য অংশ কোন কোড বহন করে না, অর্থাৎ এই অংশগুলো প্রোটিন তৈরির ক্ষেত্রে এর ক্রম নির্ধারণে কোন ভূমিকা রাখে না।
ডিএনএ এর সূত্রক দুটি পরস্পর বিপরীত দিকে বিস্তৃত এজন্য এরা পরস্পর বিপরীত-সমান্তরাল। পরস্পর যুক্ত শ্যুগার হচ্ছে চারটি নিউক্লিওবেসের (সাধারণভাবে বেস) এর একটি। এটি ডিএনএ এর হাতল গঠনের পাশাপাশি নিউক্লিওবেসগুলোর ক্রম তৈরি করে যা জৈবিক তথ্যকে কোড করে রাখে। জেনেটিক কোড অনুসারে, আরএনএ সূত্রক সংশ্লেষণ করা হয় যা প্রোটিন তৈরির ক্ষেত্রে অ্যামিনো এসিড এর ক্রম নির্ধারণ করে। এই আরএনএ সূত্রকগুলোকে প্রথমত ছাঁচ হিসেবে তৈরি করা হয় যেই প্রক্রিয়ার নাম ট্রান্সক্রিপশন।
কোষের ভেতর ডিএনএ বৃহদ গঠনে সজ্জিত যাকে বলা হয় ক্রোমোজোম। [কোষ বিভাজন|কোষবিভাজনের]] সময় ক্রোমোজোমগুলো ডিএনএ রেপ্লিকেশন নামক প্রক্রিয়ার দ্বারা প্রতিলিপিত হয় যা প্রতিটি কোষকে সম্পূর্ণ ক্রোমোজোমের সেট প্রদান করে। ইউক্যারিওটিক জীব, প্রাণী, উদ্ভিদ, এবং প্রোটিস্ট জীব অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের ডিএনএ কোষের নিউক্লিয়াস অভ্যন্তরে সংক্ষণ করে এবং কিছু অংশ থাকে কোষের অন্যান্য অঙ্গাণুতে যেমন মাইটোকন্ড্রিয়া বা ক্লোরোপ্লাস্ট [1] বিপরীতভাবে প্রোক্যারিওট জীব (ব্যাক্টেরিয়া ও আর্কিয়া) তাদের ডিএনএ শুধুমাত্র সাইটোপ্লাজমে সংরক্ষণ করে। ক্রোমোজোমের ভেতর ক্রোমাটিন প্রোটিন যেমন হিস্টোন ডিএনএকে দৃঢ় এবং সন্নিবেষ্টিত করে। এই দৃঢ় গঠনটি ডিএনএ এবং অন্যান্য প্রোটিন এর মধ্যে যোগাযোগ সৃষ্টি ও প্রতিলিপিত ডিএনএগুলোর নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।
১৮৬৯ সালে ফ্রেডরিখ মিইশার সর্বপ্রথম এটি পৃথক করেন। ১৯৫৩ সালে এর আণবিক গঠন সর্বপ্রথম জেমস ওয়াটসন এবং ফ্রান্সিস ক্রিক নির্ণয় করেন। ডিএনকে গবেষকগণ বিভিন্ন ভৌত ধর্ম ও তত্ত্ব অনুসন্ধানের জন্য একটি হিসেবে আণবিক যন্ত্র ব্যবহার করেন যেমন এরগডিক উপপাদ্য ও স্থিতিস্থাপকতা এর তত্ত্ব। এর অনন্য ভৌত বৈশিষ্ট্য একে ভৌত বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের কাছে একে আকর্ষণীয় অণুতে পরিণত করেছে এবং মাইক্রো ও ন্যানো পার্টিক্যাল গবেষণায় আগ্রহী করে তুলেছে। এই গবেষণা ক্ষেত্রে অগ্রগতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ডিএনএ অরিগ্যামি ও ডিএনএ ভিত্তিক হাইব্রিড উপাদান।[2]
এর অপ্রচলিত সমার্থক শব্দ "ডেসঅক্সিরাইবোনিউক্লিক এসিড" ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবহৃত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ ১৯৫৩-পূর্ব জেনেটিক্স।