বৃহত্তর খোরাসান
ঐতিহাসিক অঞ্চল / From Wikipedia, the free encyclopedia
খোরাসান (ফার্সি: خراسان , অনেকসময় খুরাসান হিসেবেও পরিচিত) হল মধ্য এশিয়ার একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল।[1] প্রাচীন গ্রিক ভৌগোলিক এরাতোস্থেনেস (২৭৬ খ্রি.পূ. - ১৯৫/১৯৪ খ্রি.পূ.)তার ভূগোলে পরবর্তীকালে খোরাসান বলে পরিচিত এই সমগ্র ভূখণ্ডটিকে 'এরিয়ানা' বলে অভিহিত করেন। মধ্যযুগে বর্তমান ইরানের উত্তরপূর্ব অঞ্চল, প্রায় সমগ্র আফগানিস্তান, দক্ষিণ তুর্কমেনিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের এক বিস্তীর্ণ অঞ্চল এই খোরাসানের অন্তর্ভুক্ত বলে পরিগণিত হত। এই অঞ্চলের উত্তরসীমায় ছিল আমু দরিয়া নদী, পশ্চিমে কাস্পিয়ান সাগর, দক্ষিণে মধ্য ইরানের মরু অঞ্চল ও পূর্বে মধ্য আফগানিস্তানের পার্বত্য উচ্চভূমি। মধ্যযুগের কোনও কোনও আরব ঐতিহাসিকের মতে এই অঞ্চলের সীমানা পূর্বদিকে এমনকী ভারতের পশ্চিম সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।[1]
এই অঞ্চলের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন। খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ ও ৫ম শতাব্দীতে এই অঞ্চল হাখমানেশি সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীকালে ৩৩০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ আলেকজান্ডারের অভিযানের সময় তা গ্রিক সাম্রাজ্যের অধীনস্থ হয়ে পড়ে। এই সময় থেকে এই অঞ্চল পার্থিয়া নামে পরিচিত হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ১ম শতাব্দী পর্যন্ত এখানে পার্থিয় সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত ছিল।[1] ১০ম শতাব্দীতে এই অঞ্চল সেলজুক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীকালে এই অঞ্চলে ইসলামি সভ্যতার বিকাশলাভের সাথে সাথে খোরাসান নামটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে খোরাসান ইরানের উত্তরপূর্বের একটি প্রদেশ মাত্র হলেও, সপ্তম শতাব্দী থেকে শুরু করে প্রায় সমগ্র মধ্যযুগ জুড়ে এর বিস্তৃতি ছিল বহুগুণ বেশি। আজকের ইরানের খোরাসান প্রদেশটি এই ঐতিহাসিক অঞ্চলের পশ্চিম অংশের একটি অঞ্চল মাত্র।