বুর্কিনা ফাসো
আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমভাগে অবস্থিত রাষ্ট্র / From Wikipedia, the free encyclopedia
বুর্কিনা ফাসো (বাংলা উচ্চারণ: [burˌkina ˈfaso]; ফরাসি : [buʁkina faso]) আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিমভাগে অবস্থিত একটি রাষ্ট্র। এটি পূর্বে আপার ভোল্টা (ইংরেজি: Upper Volta) নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা অর্জনের আগ পর্যন্ত এটি একটি ফরাসি উপনিবেশ ছিল। ১৯৮৫ সালে দেশটির নাম বদলে রাখা হয় বুর্কিনা ফাসো, যার অর্থ "নৈতিক জাতির দেশ"। এর উত্তরে ও পশ্চিমে মালি, পূর্বে নাইজার, এবং দক্ষিণে বেনিন, টোগো, ঘানা ও কোত দিভোয়ার। ওয়াগাদুগু (ফরাসি Ouagadougou উয়াগাদুগু, মোরে ভাষায় উয়াগ্যড্যগ্য) দেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী।
বুর্কিনা ফাসো Burkina Faso | |
---|---|
নীতিবাক্য: "Unité, Progrès, Justice" (ফরাসি) "Unity, Progress, Justice" (ইংরেজি) "একতা, অগ্রগতি, সুবিচার" (বাংলা) | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | ওয়াগাদুগু |
সরকারি ভাষা | ফরাসি |
স্বীকৃত জাতীয় ভাষা | মুরে ফুলা দাইয়ুলা[1] |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | বুর্কিনাবে |
সরকার | সামরিক জান্তা শাসিত প্রজাতন্ত্র |
ইব্রাহিম কোনাতে | |
• প্রধানমন্ত্রী | জিলবের দিয়েন্দেরে |
স্বাধীনতা ফ্রান্স থেকে | |
• তারিখ | ৫ই আগস্ট ১৯৬০ |
আয়তন | |
• মোট | ২,৭৪,২০০ কিমি২ (১,০৫,৯০০ মা২) (74th) |
• পানি (%) | 0.146% |
জনসংখ্যা | |
• 2017 আনুমানিক | 20,107,509[2] (61st) |
• 2006 আদমশুমারি | 14,017,262 |
• ঘনত্ব | ৬৪/কিমি২ (১৬৫.৮/বর্গমাইল) (137th) |
জিডিপি (পিপিপি) | 2018 আনুমানিক |
• মোট | $38.758 billion[3] |
• মাথাপিছু | $1,992[3] |
জিডিপি (মনোনীত) | 2018 আনুমানিক |
• মোট | $14.192 billion[3] |
• মাথাপিছু | $729[3] |
জিনি (2007) | 39.5[4] মাধ্যম |
মানব উন্নয়ন সূচক (2015) | 0.402[5] নিম্ন · 185th |
মুদ্রা | পশ্চিম আফ্রিকান সিএফএ ফ্রাঙ্ক (XOF) |
সময় অঞ্চল | GMT |
not observed | |
কলিং কোড | ২২৬ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .বিএফ |
|
বুর্কিনা ফাসো আফ্রিকার সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলির একটি। প্রতি বছর এই দেশের হাজার হাজার লোক পার্শ্ববর্তী দেশগুলিতে, যেমন ঘানা বা আইভরি কোস্টে কাজ খুঁজতে বিশেষ করে মৌসুমী কৃষিকাজের জন্য পাড়ি জমায়।
বুর্কিনা ফাসো পশ্চিম আফ্রিকার মধ্যস্থলে অবস্থিত খরাপ্রবণ তৃণভূমি নিয়ে গঠিত। এই স্থলবেষ্টিত দেশটির উত্তরাংশে সাহারা মরুভূমি এবং দক্ষিণে ক্রান্তীয় অতিবৃষ্টি অরণ্য। বুর্কিনাবে জাতির লোকেরা দেশের প্রধান জনগোষ্ঠী এবং এরা মূলত দেশের ঘনবসতিপূর্ণ দক্ষিণ ভাগে বাস করে। মাটির মান খারাপ এবং প্রচুর খরা হলেও এরা মূলত কৃষিকাজেই নিজেদের নিয়োজিত রাখে।
বুরকিনা ফাসোর মোসসি জাতির লোকেরা বহু শতাব্দী আগে এখানে যে রাজ্য স্থাপন করেছিল, তা ছিল আফ্রিকার সবচেয়ে প্রাচীন রাজ্যগুলির একটি। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটিতে বারংবার সামরিক অভ্যুথান বা কু (coup) ঘটে এবং সামরিক শাসন চলে। ১৯৯১ সালে নতুন সংবিধান পাস হবার পর দেশটিতে বর্তমানে গণতন্ত্র বিদ্যমান।