বাসা পরজীবীতা
From Wikipedia, the free encyclopedia
বাসা পরজীবীতা বলতে কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির পাখি, মাছ ও পোকামাকড়ের এমন একটি স্বভাব বোঝায়, যে স্বভাবের বলে সেসব প্রাণীরা তাদের বাচ্চা বা সন্তান লালন-পালনের ভার অন্য কারো উপর চাপিয়ে দেয়।[1][2] এ ধরনের প্রাণীদের বাসা পরজীবী বলে। আর যেসব প্রাণী বাসা পরজীবী প্রাণীদের সন্তান লালন পালন করে, তাদেরকে বলে পোষক। বাসা পরজীবীতা একই প্রজাতির বা দুটি ভিন্ন প্রজাতির জীবের মধ্যেও ঘটতে পারে। বিশেষ ধরনের এই পরজীবী ব্যবস্থায় পরজীবীরা সাধারণত পোষকের বাসায় ডিম পেড়ে যায় আর পোষক পরজীবীর ডিম ফুটিয়ে তার সন্তানকে নিজের সন্তান ভেবে লালন-পালন করে। বাসাকে কেন্দ্র করে পুরো পোষক-পরজীবী সম্পর্কটা আবর্তিত হয় বলে একে বিশেষভাবে বাসা-পরজীবীতা বলা হয়।
বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষার একটি প্রাকৃতিক পদ্ধতি হচ্ছে বাসা পরজীবীতা। কারণ বাসা পরজীবী জীব পোষকের বাসায় ডিম পেড়েই ক্ষান্ত হয় না, অনেক সময় পোষকের ডিম, বাচ্চারও ক্ষতি করে। এমনকি পরজীবীর সন্তানরাও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পোষকের ডিম, বাচ্চার ক্ষতি সাধন করে। এর ফলে পোষকের পরিমাণ প্রকৃতিতে বিপজ্জনক হারে বেড়ে যায় না।[3]