বাষ্পীয় ইঞ্জিনের ইতিহাস
From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রাচীনকালের ইতিহাসে খ্রিস্টপূর্ব ৩০ থেকে ১৫ অব্দে "এওলিপাইল" নামক প্রথম বাষ্পীয় ইঞ্জিনের কথা পাওয়া যায়। রোমান লেখক ভিট্রুভিয়াস এই ইঞ্জিনের উল্লেখ করেছিলেন এবং পরবর্তীতে ১ম শতাব্দীতে মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার হিরো আরও বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছিলেন।[1] এরপরে বিভিন্ন উদ্ভাবক আরও উন্নত বাষ্পীয় যন্ত্র তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যান। উদাহরণস্বরূপ, ষোড়শ শতাব্দীতে অটোমান সাম্রাজ্যের টাকি আল-দিন বাষ্পীয় ঘড়ি ও টারবাইন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। সপ্তদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের থমাস সাভেরি বাষ্পীয় পাম্প উদ্ভাবন করেন। তবে ১৭১২ সালে টমাস নিউকোমেনের "বায়ুমণ্ডলীয় ইঞ্জিন"ই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়। পিস্টন এবং সিলিন্ডারের নীতি ব্যবহার করে এই ইঞ্জিনটি কাজ করত এবং ২০ শতাব্দীর গোড়া পর্যন্ত মূল ধরনের বাষ্পীয় ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। প্রথমদিকে এসব ইঞ্জিন কয়লা খনি থেকে পানি বের করতে ব্যবহৃত হত।
শিল্প বিপ্লবের সময় বাষ্পীয় ইঞ্জিন জল এবং বাতাসের শক্তিকে ধীরে ধীরে প্রতিস্থাপন শুরু করে। ১৯ শতাব্দীর শেষের দিকে এবং ২০ শতাব্দীর প্রথম দশকে এসে এটিই প্রধান শক্তির উৎস হয়ে ওঠে। তবে এরপরে আরও দক্ষ এবং উন্নত প্রযুক্তি, যেমন বাষ্পীয় টারবাইন এবং অভ্যন্তরীণ জ্বলন ইঞ্জিন আবিষ্কার হওয়ায় বাষ্পীয় ইঞ্জিনের ব্যবহার কমতে থাকে। যদিও এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাষ্পীয় টারবাইনই সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।[2] উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে নতুন প্রযুক্তি নির্ভর এডভান্সড স্টিম ইঞ্জিন তৈরির চেষ্টা চলছে, যা হয়তো ভবিষ্যতে জ্বালানী সঙ্কট মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।