বার্তোলোমিউ ডিয়াস
পর্তুগিজ অনুসন্ধানকারী / From Wikipedia, the free encyclopedia
বার্তোলোমিউ দিয়াহ (পর্তুগিজ: Bartoloneu Dias উচ্চারিত: [baɾtuluˈmew ˈdi.ɐʃ]; ইংরেজি: Bartholomew Diaz; আনু. ১৪৫০ – ২৯ মে ১৫০০[2]) ছিলেন একজন রোমান ক্যাথলিক পর্তুগীজ নৌ-অভিযাত্রী। তার জন্ম ১৪৫০ খ্রিস্টাব্দে। এঁকে ভারতে যাওয়ার বিকল্প পথ বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কারণ পনেরো শতকের শেষ দিক থেকে এশিয়া থেকে মসলা সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ভেনিস ও আরব বণিকদের এড়িয়ে বিকল্প পথ অনুসরণ করে ভারতে তথা বাংলায় অনুপ্রবেশ করা পর্তুগিজদের জন্য অনিবার্য হয়ে উঠেছিল।
বার্তোলোমিউ ডিয়াজ | |
---|---|
জন্ম | ১৪৫০[1] Algarve, Kingdom of Portugal |
মৃত্যু | ২৯ মে ১৫০০ (aged c. 50) Cape of Good Hope |
জাতীয়তা | পর্তুগীজ |
পেশা | নাবিক এবং অনুসন্ধানকারী |
পরিচিতির কারণ | প্রথম ইউরোপীয় থেকে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রান্ত জুড়ে যাত্রা করেছিল। |
বার্থোলোমিউ দিয়াজ় কালিকূট বন্দরে অবতরণ করেন। অবশ্য ইউরোপ থেকে ভারতে আসার জলপথ আবিষ্কার করেন ভ়াস্কো দা গামা। এই পর্তুগীজ নৌ কমান্ডার ১৫২৪ সালে সালে স্বল্প সময়ের জন্য পর্তুগীজ ভারতের গভর্নর ও ছিলেন। ১৪৯৮ সালে ভাস্কো দা গামার নেতৃত্বে ইউরোপীয়রা জলপথে ভারতে প্রবেশ করেছিল। সেটা কালিকূটেই ছিল।
পঞ্চদশ শতকের হালকা ও দ্রুতগামী পর্তুগীজ জাহাজ। উপযুক্ত জাহাজ নির্মান ছাড়াও অক্ষাংশ নির্ণয়ে কৌণিক উচ্চতা পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহারও সমুদ্রযাত্রায় পর্তুগিজদের প্রাধান্য দিয়েছিল।
পর্তুগিজদের বাংলায় আসার আগেই ইউরোপ অবধি বাংলার ধনসম্পদের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল। বাংলার উর্বরা মাটিই বাংলার কৃষিপণ্যকে একটি উন্নত স্তরে পৌঁছে দিয়েছিল। বিশেষ করে চাল এবং তুলা। এছাড়া মসলা ও বস্ত্রশিল্পেও বাংলার প্রশংসনীয় অগ্রগতি হয়েছিল সেকালে। রোমান মেয়েরা নাকি ঢাকাই মসলিন কাপড়ের জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকত। এসব কারণেই পর্তুগিজ বণিকের লোভাতুর দৃষ্টি পড়েছিল সুজলাসুফলাশষ্যশ্যামলা বাংলার ওপর। এই ধন সম্পদই বাংলার মানুষের জন্য অশেষ দুঃখের কারণ হয়েছিল। চর্যাপদের কবিরা যার ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বহু বছর আগেই:আপনা মাংসে হরিণা বৈরী
এই পদ রচনা করে। বাংলায় উৎপন্ন পণ্যের বিপননের জন্য ষোড়শ শতাব্দীর বাংলায় দুটো সমৃদ্ধশালী বাণিজ্য-কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল।বাংলার পুবের চট্টগ্রাম আর পশ্চিমের সপ্তগ্রাম। সরস্বতী নদীর পাশে ছিল সপ্তগ্রাম ছিল একটি সরগরম গঞ্জ। রেশম, কার্পাস, গালা, চিনি, সুতার কাপড় আর চালের আড়ত-কি নেই সেখানে। চট্টগ্রামও অনুরূপ পণ্যে সমৃদ্ধশালী ছিল। পণ্যলোভী পর্তুগীজরা প্রথমে ঘাঁটি গেড়েছিল চট্টগ্রামে। তারপর সপ্তগ্রামে। চট্টগ্রাম হচ্ছে তাদের কাছে ‘পোর্ট-গ্রান্ডী’ অর্থাৎ বড় স্বর্গ। আর সপ্তগ্রাম হচ্ছে ‘পোর্ট পিকানো’; অর্থাৎ ছোট স্বর্গ’। বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়। যে গৌড় অচিরেই অধিকার করে নেবে মুগলরা।