বারনার্ড লুইস
From Wikipedia, the free encyclopedia
বারনার্ড লুইস, এফবিএ (৩১ মে ১৯১৬ - ১৯ মে ২০১৮) একজন ব্রিটিশ-আমেরিকান ইতিহাসবিদ ছিলেন যিনি প্রাচ্যবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ ছিলেন। তিনি একজন সুপরিচিত বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। লুইস প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ার ইস্টার্ন স্টাডিজ বিভাগের ক্লিভল্যান্ড ই. ডজ এমেরিটাস অধ্যাপক ছিলেন। ইসলামের ইতিহাস এবং ইসলাম ও পাশ্চাত্যের মধ্যকার মিথস্ক্রিয়া ছিল লুইসের দক্ষতার ক্ষেত্র।
Bernard Lewis | |
---|---|
জন্ম | (১৯১৬-০৫-৩১)৩১ মে ১৯১৬ London, England |
মৃত্যু | ১৯ মে ২০১৮(2018-05-19) (বয়স ১০১) Voorhees Township, New Jersey, U.S. |
জাতীয়তা | British American |
দাম্পত্য সঙ্গী | Ruth Hélène Oppenhejm (married 1947–1974) |
সন্তান | 2 |
পুরস্কার | Fellow of the British Academy Harvey Prize Irving Kristol Award Jefferson Lecture National Humanities Medal |
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি | |
মাতৃ-শিক্ষায়তন | SOAS (BA, PhD) University of Paris |
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম | |
বিষয় | Historian |
প্রতিষ্ঠান | SOAS Princeton University Cornell University |
ডক্টরাল শিক্ষার্থী | Feroz Ahmad |
প্রধান আগ্রহ | Middle Eastern studies, Islamic studies |
উল্লেখযোগ্য কাজ |
|
যাদের প্রভাবিত করেন | Heath W. Lowry, Fouad Ajami |
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লুইস ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর রয়েল আর্মার্ড কোরে এবং ইন্টেলিজেন্স কোরে সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরিত হন। যুদ্ধের পর, তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে ফিরে আসেন এবং নিয়ার ও মিডল ইস্টার্ন হিস্ট্রির নতুন চেয়ারে নিযুক্ত হন।
২০০৭ সালে লুইসকে "মধ্যপ্রাচ্যের পাশ্চাত্য জগতের শীর্ষস্থানীয় ব্যাখ্যাকারী" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, লুইসের দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামী বিশ্বের ক্ষেত্রে সারবস্তুবাদী এবং সাধারণীকরণমূলক ছিল। সাম্প্রতিক গবেষণা দ্বারা চ্যালেঞ্জ হওয়া কিছু প্রকল্প পুনরুজ্জীবিত করার প্রবণতাও তাঁর মাঝে দেখা গেছে। রাজনৈতিকভাবে, লুইসের সমালোচকরা বলেন, তিনি ইসলামের সাংস্কৃতিক নিকৃষ্টতার ধারণাকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন এবং জিহাদের ভয়াবহতা তুলে ধরতে গিয়ে মাত্রা ছাড়িয়েছেন। বুশ প্রশাসনসহ নিওকনজারভেটিভ নীতিনির্ধারকদের কাছে লুইসের পরামর্শ অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ছিল। ইরাক যুদ্ধে তাঁর সক্রিয় সমর্থন এবং নিওকনজারভেটিভ আদর্শের প্রতি তাঁর স্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছে।
এডওয়ার্ড সাঈদের সাথে লুইসের প্রকাশ্য বিতর্ক তাঁকে আরো বেশি পরিচিত করে তুলে। সাঈদ লুইসকে একজন জায়নবাদী ক্ষমা প্রার্থী ও প্রাচ্যবিদ বলেছিলেন যিনি আরবদের অবমাননা করেছেন, ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদকে উৎসাহিত করেছেন। লুইস এসবের জবাবে বলেছিলেন, প্রাচ্যবিদ্যা মানবতাবাদের একটি দিক এবং সাঈদ বিষয়টিকে রাজনৈতিকীকরণের চেষ্টা করেছেন।
বার্নাড লুইস আর্মেনীয় গণহত্যা অস্বীকার করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। উসমানীয় সাম্রাজ্যের হাতে আর্মেনীয় জনগণের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত গণহত্যার কোন প্রমাণ নেই- অন্যান্য ইতিহাসবিদরা লুইসের এই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন। লুইস বলেছিলেন যে, দুটি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মধ্যকার পারস্পরিক সংগ্রামের ফলে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। এই দৃষ্টিভঙ্গিকে "ঐতিহাসিকতার পরিপন্থী" হিসেবে সমালোচনা করা হয়েছে।