বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার
পুরস্কার / From Wikipedia, the free encyclopedia
বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার (আরবি: جائزة الملك فيصل العالمية; পূর্বে বাদশাহ ফয়সাল আন্তর্জাতিক পুরস্কার নামে পরিচিত ছিল) হল কিং ফয়সাল ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রদত্ত একটি বাৎসরিক পুরস্কার যা একটি ইতিবাচক পার্থক্য সৃষ্টিতে অবদান রাখা একনিষ্ঠ নারী ও পুরুষদের প্রদান করা হয়।[1][2] ১৯৭৭ সালে এটি বাদশাহ ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। বর্তমানে ইসলাম পরিষেবায়, ইসলামী অধ্যয়ন, আরবি ভাষা, সাহিত্য, চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের সেবায় অসামান্য অবদানের সম্মানে নির্বাচিত হওয়ার পর এটি বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। শুরুতে এটি তিনটি ক্ষেত্র জুড়ে ছিলঃ ইসলাম পরিষেবায়, ইসলামিক অধ্যয়ন, আরবি ভাষা ও সাহিত্য পরিবেশন; প্রথম পুরস্কারটি ১৯৭৯ সালের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ১৩৯৯ হিজরীতে মঞ্জুর করা হয়, পরে এতে আরও দুটি ক্ষেত্র যুক্ত করা হয়, যথা চিকিৎসা এবং বিজ্ঞান।[3]
বাদশাহ ফয়সাল পুরস্কার | |
---|---|
বিবরণ | ইসলাম পরিষেবায়, ইসলামী শিক্ষা, আরবি ভাষা ও সাহিত্যে, চিকিৎসাশাস্ত্র, বিজ্ঞান |
দেশ | সৌদি আরব |
পুরস্কারদাতা | কিং ফয়সাল ফাউন্ডেশন |
পুরস্কার | একটি শংসাপত্র, ২৪ ক্যারেটের একটি স্বর্ণ পদক, ৭৫০ হাজার সৌদি রিয়ালের একটি চেক (যা বর্তমানে, ২০০ হাজার মার্কিন ডলারের সমতুল্য) |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৭৯ |
ওয়েবসাইট | kingfaisalprize |
প্রথম সংস্করণে পুরস্কার প্রাপকদের মধ্যে ইসলামি পরিসেবার ক্ষেত্রে প্রথম ছিলেন সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী এবং ইসলাম অধ্যয়নে ফুয়াত সেজগিন, যাদের ১৯৭৯ সালে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এছাড়াও ১৯৮০ সালে ইহসান আব্বাস ও আব্দুল কাদির আল-কাতকে যৌথভাবে আরবি ভাষা ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে প্রথম পুরস্কৃত করা হয়। এরপর ১৯৮২ চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডেভিড মর্লি এই পুরস্কার নেন, একই সালে বিজ্ঞান বিভাগে হাইনরিশ রোরার ও গের্ড বিনিগ পুরস্কৃত হন। ১৯৮৮ সালে জ্যানেট রাউলি প্রথম মহিলা ছিলেন, যিনি চিকিৎসা ক্ষেত্রে এই পুরস্কারটি মেলভিন গ্রিভসের সাথে মিলিতভাবে জিতেছিলেন।
পুরস্কার বিজয়ীদের নাম সাধারণত প্রতি বছরের জানুয়ারিতে ঘোষণা করা হয়, তবে শর্ত থাকে যে এই ঘোষণার দুই মাসের মধ্যে পুরস্কার হস্তান্তরের অনুষ্ঠানটি সৌদি আরবের রাজা বা তার প্রতিনিধির পৃষ্ঠপোষকতায়, এবং রিয়াদের কিং ফয়সাল ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত করতে হবে। ২০২১ সাল পর্যন্ত এর বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার প্রাপকের সংখ্যা; ৪৩টি দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ২৭৫ জন বিজয়ী এবং বিজয়ীদের মধ্যে কয়েকজন পরবর্তীতে নোবেল পুরস্কারের মতো অন্যান্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক পুরস্কারও জিতেছেন।[4]