বাংলাদেশে গর্ভপাত
From Wikipedia, the free encyclopedia
বাংলাদেশে গর্ভপাত বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অবৈধ, যদিও মাসিক সঞ্চালনকে বিকল্প হিসেবে কাজে লাগানো হয়। বাংলাদেশে এখনো ১৮৬০-এর প্যানাল কোড চালু রয়েছে, যেখানে প্ররোচিত গর্ভপাতকে আইন বহির্ভূত হিসেবে গণ্য করা হয় যদিনা এটি নারীর জন্য হুমকিস্বরূপ হয়।[1][2]
ঐতিহাসিকভাবে, গর্ভপাত একসময় প্রচলিত ছিল, বিশেষকরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরবর্তী বছরে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৭২ সালে, যুদ্ধের সময়ে যেসব নারী ধর্ষিত হয়েছিল, তাদের জন্য গর্ভপাত বৈধ করে দেয়া হয়েছিল।[2] ১৯৭৬-এ, বাংলাদেশ জাতীয় জনসংখ্যা নীতি গর্ভধারণকালে ফার্স্ট ট্রাইমেস্টারে গর্ভপাতকে বৈধতা দিতে পদক্ষেপ নিয়েছিল।[3]
১৯৭৯ সাল থেকে বাংলাদেশে গর্ভপাতের বিকল্প হিসাবে মেন্সট্রুয়াল রেগুলেশনের অনুমতি দেয়া হয়েছে কারণ এক্ষেত্রে গর্ভাবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় না। [2][3] ২০১২ সালে বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন মেডিকেল ব্যবস্থাপনায় গর্ভপাতের জন্য মিফেপ্রিস্টোন এবং মিসোপ্রোস্টল কে বৈধতা দেয়।[4]