ফোড়া
From Wikipedia, the free encyclopedia
ফোড়া (ইংরেজি: abscess) ও (লাতিন: abscessus) হল শরীরে টিস্যুর মধ্যে পুঁজ জমা হওয়া। ফোড়ার জায়গা লালচে ও উষ্ণ হয়ে যায়, ব্যথা হয়, ফুলে যায়। ফোলার উপরে চাপ দিলে মনে হবে ভিতরে তরল জমে আছে।[1] যতদূর ফোলা থাকে লালচে ভাব তার চেয়েও বেশিদূর পর্যন্ত থাকে।[6] কার্বাঙ্কল ও বয়েল হল ফোড়ার দুটি প্রকারভেদ। এরা লোমকূপের স্থানে হয়। কার্বাঙ্কলের আকার বড়ো হয়।[7]
ফোড়া | |
---|---|
পাঁচ দিনের পুরানো ফোড়া। কালো চিহ্নটি বদ্ধ লোমকূপ। | |
বিশেষত্ব | চর্মরোগবিদ্যা, সাধারণ অস্ত্রোপচার, সংক্রামক রোগ |
লক্ষণ | লালচে ভাব, ব্যথা, ফোলা[1] |
রোগের সূত্রপাত | দ্রুত |
স্থিতিকাল | নির্দিষ্ট নয় |
কারণ | ব্যাক্টেরিয়া (প্রায়শ MRSA)[1] |
ঝুঁকির কারণ | শিরাপথে ওষুধের ব্যবহার।[2] |
রোগনির্ণয়ের পদ্ধতি | আল্ট্রাসাউন্ড, সিটি স্ক্যান[1][3] |
পার্থক্যমূলক রোগনির্ণয় | সেলুলাইটিস, সিবেসাস সিস্ট, নেক্রোটাইজিং ফাসাইটিস[3] |
চিকিৎসা | কেটে পুঁজ বের করা।[4] |
ঔষধ | অ্যান্টিবায়োটিক |
সংঘটনের হার | ~১% প্রতিবছর (যুক্তরাষ্ট্র)[5] |
মৃতের সংখ্যা | বিরল |
ফোড়া হয় মূলত ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের জন্য।[8] প্রায়শই একটি ফোড়ায় কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন জীবাণু পাওয়া যায়।[6] যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক এলাকায় যে ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে সবচেয়ে বেশি ফোড়া হয় তা হল মেথিসিলিন প্রতিরোধী স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস।[1] বিরল ক্ষেত্রে পরজীবী দিয়ে ফোড়া হতে পারে বিশেষত উন্নয়নশীল বিশ্বে।[3] চামড়ার ফোড়া খালি চোখে দেখেই নির্ণয় করা হয়। [1] রোগ নির্ণয়ে জটিলতার ক্ষেত্রে আল্ট্রাসাউন্ডের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।[1] পায়ুপথের চারপাশে ফোড়ার ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যানের সাহায্যে এই ইনফেকশনের গভীরতা নির্ণয় করা যেতে পারে।[3]
ফোড়ার চিকিৎসার মূল বিষয় হল সেটি কেটে উন্মুক্ত করে পুঁজ বের করে ফেলা।[4] ত্বকের ফোড়ার চিকিৎসায় স্বাস্থ্যবান মানুষের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করলেও চলে। [1][1][9] ফোড়া কেটে পুঁজ বের করার পর সেটি উন্মুক্ত অবস্থায় না রেখে বন্ধ করে দিলে দ্রুত আরোগ্যলাভ হতে পারে।[10] শুধু সুচ দিয়ে পুঁজ বের করে আনা ফোড়া ভালো হওয়ার জন্য যথেষ্ট না।[1]
ত্বকের ফোড়া প্রায়শই হয় এবং সাম্প্রতিক সময়ে এর হার অনেক বেড়েছে।[1] শিরাপথে ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকির হার প্রায় ৬৫%।[2] ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩২ লক্ষ ব্যক্তি ফোড়া নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়েছিল।[5] ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়াতে প্রায় ১৩০০০ রোগী ফোড়া নিয়ে হাসপাতালে আসে।[11]