প্রাকৃতিক মৃত্তিকাবিজ্ঞান
From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রাকৃতিক মৃত্তিকাবিজ্ঞান (Pedology) মৃত্তিকাবিজ্ঞানের একটি শাখা যাতে প্রায়শই প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রেক্ষিতে মৃত্তিকার উৎপত্তি ও বিকাশ অনুধাবন ও চরিত্রায়ন এবং মৃত্তিকাবস্তুসমূহের প্রতিমান নির্মাণের তাত্ত্বিক পরিকাঠামো নির্মাণের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়।[1] এটি মৃত্তিকা বিষয়ক অধ্যয়ের দুইটি প্রধান শাখার একটি। অপরটি হল উদ্ভিদ মৃত্তিকাবিজ্ঞান, যেখানে মৃত্তিকার ধর্ম কীভাবে উদ্ভিদদেরকে (প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন বা কৃষিকাজ দ্বারা ফলানো) প্রভাবিত করে, সে ব্যাপারটি অধ্যয়ন করা হয়।
প্রাকৃতিক মৃত্তিকাবিজ্ঞানীরা মৃত্তিকা বা মাটি বিষয়ক মৌলিক ঘটনাবলী (যেমন মৃত্তিকার উৎপত্তি) অধ্যয়ন করার সময় মৃত্তিকার রূপবিজ্ঞান, মৃত্তিকাসমূহের ভৌগোলিক বিতরণ এবং বৃহত্তর স্থানকালিক প্রেক্ষিতে মৃত্তিকাবস্তুসমূহের অবস্থিতির উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়। এ কাজ করতে গিয়ে প্রাকৃতিক মৃত্তিকাবিজ্ঞানীরা মৃত্তিকার শ্রেণিবিন্যাস ও মৃত্তিকা মানচিত্রণের পদ্ধতি এবং মৃত্তিকাসমূহের মধ্যবর্তী স্থানকালিক আন্তঃসম্পর্কের চরিত্রায়নের বিভিন্ন তত্ত্ব নির্মাণ ও সেগুলির বিকাশসাধন করেন। প্রাকৃতিক মৃত্তিকাবিজ্ঞানের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উপশাস্ত্র আছে, যাদের মধ্যে মৃত্তিকামিতি (pedometrics) ও মৃত্তিকার ভূমিরূপবিজ্ঞান (soil geomorphology) উল্লেখ্য। মৃত্তিকামিতিতে মৃত্তিকার ধর্মের মানচিত্রণের উদ্দেশ্যে মৃত্তিকার পরিমাণবাচক চরিত্রায়নের কৌশলসমূহের বিকাশের উপর জোর দেওয়া হয়।[2] অন্যদিকে মৃত্তিকার ভূমিরূপবিজ্ঞানে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়াসমূহ ও মৃত্তিকার উৎপত্তির মধ্যকার আন্তঃসম্পর্কগুলি অধ্যয়ন করা হয়। [3]