প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস
জেন অস্টিনের উপন্যাস / From Wikipedia, the free encyclopedia
প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস (ইংরেজি: Pride and Prejudice) জেন অস্টেন রচিত একটি উপন্যাস। ১৭৯৬ সালে এই উপন্যাস রচনার কাজ শুরু হয়। এটি লেখিকার উপন্যাস রচনার দ্বিতীয় প্রয়াস এবং তার সেন্স অ্যান্ড সেন্সিবিলিটি, প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস, নরদ্যাঙ্গার অ্যাবে উপন্যাসত্রয়ীর অন্যতম। উপন্যাসটি প্রকাশিত হতে বারো বছরেরও বেশি সময় লেগেছিল। অস্টেন ১৭৯৭ সালেই মূল পাণ্ডুলিপিটি রচনার কাজ শেষ করে ফেলেছিলেন।[1] এই পাণ্ডুলিপি রচনার কাজটি তিনি করেন হ্যাম্পশায়ারের স্টিভেনটনে। এখানকারঈ এক টাউন রেকটরিতে তিনি তার পিতামাতা ও ভাইবোনদের সঙ্গে বাস করতেন। অস্টিন প্রথমে উপন্যাসটির নাম দিয়েছিলেন ফার্স্ট ইম্প্রেশনস। তবে এই নামে বইটি আদৌ কোনোদিন প্রকাশিত হয়নি। বরং তিনি পাণ্ডুলিপিতে ব্যাপক সংশোধনী আনেন, তারপর পুনরায় উপন্যাসটির নতুন নামকরণ করেন এবং শেষে প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস নামে বইটি প্রকাশিত হয়।[2] উপন্যাসটির নতুন নামকরণের ক্ষেত্রে অস্টেন সম্ভবত ফ্যানি বার্নির সিসিলিয়া উপন্যাসটির শেষ অধ্যায়ের (যার শিরোনামও "প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস", শব্দটি এখানে মোটা বড়ো হাতের হরফে তিনবার মুদ্রিত হয়েছিল) দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে অনুমিত হয়।
লেখক | জেন অস্টেন |
---|---|
দেশ | যুক্তরাজ্য |
ভাষা | ইংরেজি |
ধরন | নভেল অফ ম্যানারস, ব্যঙ্গ-গদ্য |
প্রকাশক | টি. ইগারটন, ওয়াইটহল |
প্রকাশনার তারিখ | ২৮ জানুয়ারি, ১৮১৩ |
মিডিয়া ধরন | মুদ্রণ (হার্ডব্যাক, ৩ খণ্ডে) |
আইএসবিএন | নেই {{ISBNT}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: অবৈধ অক্ষর |
উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র এলিজাবেথ বেনেট। ঊনবিংশ শতাব্দীর সূচনাভাগের ইংল্যান্ডের ভূম্যধিকারী উচ্চবিত্ত সমাজে তার আচরণ, বেড়ে ওঠা, নৈতিকতাবোধ, শিক্ষা ও বিবাহকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের ঘটনাগুলি বিন্যস্ত। এলিজাবেথ এক মফঃস্বলবাসী ভদ্রলোকের দ্বিতীয়া কন্যা। সে লন্ডনের নিকটস্থ হার্টফোর্ডশায়ারে অবস্থিত মেরিটন নামে এক কাল্পনিক শহরে বাস করত।
উপন্যাসের পটভূমি ঊনবিংশ শতাব্দীর সূচনাকাল হলেও, এই উপন্যাসটি আধুনিক পাঠকের কাছেও সমান জনপ্রিয়। আজও সাহিত্য সমালোচকগণ এই বইটির প্রশংসা করে থাকেন। আধুনিক কালে এর জনপ্রিয়তার ফলস্রুতিতে এই উপন্যাস একাধিকবার চলচ্চিত্রায়িত ও মঞ্চায়িত হয়েছে এবং এই উপন্যাসের চরিত্র ও কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু অবলম্বনে একাধিক উপন্যাস ও গল্পও লিখিত হয়েছে। অদ্যাবধি সারা বিশ্বে এই উপন্যাসের প্রায় ২০ মিলিয়ন কপি বিক্রিত হয়েছে। বইটি বাংলা অনুবাদ করেছেন তুহিন কুমার মুখোপাধ্যায়।[3]