প্রথম বিশ্বযুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্য রণাঙ্গন
From Wikipedia, the free encyclopedia
মধ্য প্রাচ্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের রঙ্গমঞ্চ অনুষ্ঠিত হয় ২৯ অক্টোবর ১৯১৪ থেকে ৩০ অক্টোবর ১৯১৮ পর্যন্ত। একদিকে ছিল অক্ষ শক্তির সহযোগীতায় উসমানীয় (অটোম্যান) সাম্রাজ্য (কুর্দি এবং কিছু আরব উপজাতি সহ) এবং অন্যদিকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য (ইহুদী, গ্রীক, আসিরিয় এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ আরব, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীন ভারতীয়দের সাথে নিয়ে), রাশিয়ান (আর্মেনীয়দের সহায়তায়) এবং মিত্রশক্তির ফরাসিরা। পাঁচটি প্রধান সামরিক অভিযান হলো: সিনাই এবং প্যালেস্টাইন অভিযান, মেসোপটেমিয়ায় অভিযান, ককেশাস অভিযান, পারস্য অভিযান এবং গ্যালিপোলি অভিযান। বেশ কয়েকটি ছোটখাটো অভিযানও ছিল: যেমন, সেনুসি অভিযান, আরব অভিযান, এবং দক্ষিণ আরব অভিযান।
মধ্য প্রাচ্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের রঙ্গমঞ্চ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: প্রথম বিশ্বযুদ্ধ | |||||||||
গ্যালিপোলি অভিযান, এপ্রিল ১৯১৫। | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
মিত্র শক্তি:
রাশিয়া (১৯১৭ পর্যন্ত)
ফ্রান্স
Hejaz ইতালি Nejd and Hasa আসির |
অক্ষ শক্তি: Ottoman Empire German Empire Austria-Hungary[1][2] Clients: জাবাল শামার সেনুসি (১৯১৫ থেকে) আজারবাইজান (১৯১৮) জর্জিয়ান (1918) | ||||||||
শক্তি | |||||||||
২,৫৫০,০০০[3] ১,০০০,০০০[4] বিভিন্ন ১০০,০০০[4] টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত Democratic Republic of Armenia বিভিন্ন ১০০,০০০[4] ৭০,০০০[3] ৩০,০০০ (১৯১৬)[5] ৫০,০০০+ (১৯১৮)[6] ২,০০০[lower-alpha 1] সর্বমোট: ৩,৬২০,০০০+ |
2,800,000 (মোট বাধ্যতামূলকভাবে সৈন্যদলে নিযুক্ত)[7] ৮০০,০০০ (peak)[7][8] ৩২৩,০০০ ( যুদ্ধবিরতি চলাকালীন)[9] 6,500 (1916) ২০,০০০ (১৯১৮)[7] ২০,০০০ (১৯১৮)[lower-alpha 2] ১০,০০০ (১৯১৫)[10] : ৯,০০০ (১৯১৮)[11] | ||||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||||
~১,২৫০,০০০ |
১,৫৬০,০০০[12] ৭৭১,৮৪৪ নিহত/নিখোঁজ ৬৯৫,৩৭৫ আহত ১৪৫,১০৪ যুদ্ধবন্দী | ||||||||
৫,০০০,০০০ বেসামরিক মানুষ নিহত[13] প্রথম বিশ্বযুদ্ধের উসমানীয়দের হতাহতের তালিকায় উসমানীয়দের হতাহতের সংখ্যা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। |
উভয় পক্ষই এ অঞ্চলের স্থানীয় অসমমিতিক বাহিনী (asymmetrical forces) ব্যবহার করে। জোটের পক্ষে আরব বিপ্লবে অংশ নেওয়া আরবরা এবং আর্মেনীয় গণহত্যার সময় আর্মেনীয় প্রতিরোধে অংশ নেওয়া আর্মেনিয়ান মিলিশিয়ারা অংশগ্রহণ করে; আর্মেনিয়ান স্বেচ্ছাসেবক দলের সাথে আর্মেনিয়ান মিলিশিয়ারা ১৯১৮ সালে প্রথম আর্মেনিয়া প্রজাতন্ত্রের আর্মেনিয়ান সেনাবাহিনী গঠন করে। এছাড়া আসিরিয়া গণহত্যার পরে আসিরিয়ারা মিত্রবাহিনীতে যোগ দেয়, আসিরিয়ার স্বাধীনতার যুদ্ধকে উস্কে দেয়।[14] তুর্কি উসমানীয়দের প্রতি কুর্দি (১৯১৫ অবধি), তুর্কমান, সিরকাসিয়ান, চেচেন এবং বেশ কয়েকটি ইরানি, আরব এবং বারবার গ্রুপের সমর্থন ছিল। রঙ্গমঞ্চটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমস্ত রঙ্গমঞ্চের বৃহত্তম অঞ্চল জুড়েছিল।
এরজিঙ্কের যুদ্ধবিরতি চুক্তির (৫ ডিসেম্বর ১৯১৭) পর রঙ্গমঞ্চ থেকে রাশিয়ার প্রস্থান ঘটে, এরপর ব্রেস্ট-লিটোভস্ক চুক্তির (৩ মার্চ ১৯১৮) চুক্তির অধীনে বিপ্লবী রাশিয়ান সরকার যুদ্ধ থেকে সরে আসে। আর্মেনিয়রা ট্র্যাবজন শান্তি সম্মেলনে (১৪ ই মার্চ ১৯১৮) যোগদান করে এবং ১৯১৮ সালের ৪ জুন বাতুম চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। উসমানীয়রা ১৯১৮ সালের ৩০ অক্টোবর মিত্রদের সাথে মুদর্স যুদ্ধবিরতি মেনে নেয়, ১৯২০ সালের ১০ আগস্ট স্যাভ্রেসের চুক্তি এবং পরে ২৪ জুলাই ১৯২৩ সালে লুসান চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।