পিএনএস গাজী
From Wikipedia, the free encyclopedia
পিএনএস গাজী (পূর্বে ইউএসএস দিয়াবলো (এসএস-৪৭৯); রিপোর্টিং নাম: গাজী), সিতারা-ই-জুরাত, ছিল পাকিস্তান নৌবাহিনীর টেঞ্চ শ্রেনীর ডিজেল-তড়িৎ চালিত প্রথম দ্রুতগামী আক্রমণকারী ডুবোজাহাজ। ১৯৬৩ সালে পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিকট হতে ডুবোজাহাজটি ইজারা নেয়।:৬৮[9]
১৯৬৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে নিয়োজিত ইউএসএস দিয়াবলো ডুবোজাহাজ | |
ইতিহাস | |
---|---|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | |
নাম: | ইউএসএস দিয়াবলো |
নির্মাতা: | পোর্টসমাউথ নেভাল শিপইয়ার্ড, কিট্টেরি, মেইন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র[1] |
নির্মাণের সময়: | ১১ আগস্ট ১৯৪৪[1] |
অভিষেক: | ১ ডিসেম্বর ১৯৪৪[1] |
কমিশন লাভ: | ৩১ মার্চ ১৯৪৫[1] |
ডিকমিশন: | ১ জুন ১৯৬৪[1] |
নিমজ্জনের সময়: | ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১[2] |
শনাক্তকরণ: | এসএস-৪৭৯ |
নিয়তি: | পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর ১ জুন ১৯৬৪[1] |
পাকিস্তান | |
নাম: | পিএনএস গাজী |
মোট খরচ: | $১.৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১৯৬৮) (Refit and MLU cost)[3] |
অর্জন: | ১ জুন ১৯৬৪ |
মেরামত: | ২ এপ্রিল ১৯৭০ |
সম্মাননা এবং পদকসমূহ: |
|
নিয়তি: | ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে নিমজ্জিত[4][5][6][7] |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | Tench-শ্রেণী ডিজেল-তড়িৎ ডুবোজাহাজ[2] |
ওজন: | |
দৈর্ঘ্য: | ৩১১ ফু ৮ ইঞ্চি (৯৫.০০ মি)[2] |
প্রস্থ: | ২৭ ফু ৪ ইঞ্চি (৮.৩৩ মি)[2] |
ড্রাফট: | ১৭ ফু (৫.২ মি) সর্বোচ্চ[2] |
প্রচালনশক্তি: | টেমপ্লেট:Fleet-boat-propulsion-late-FM-2-E |
গতিবেগ: | |
সীমা: | ১১,০০০ নটিক্যাল মাইল (২০,০০০ কিমি; ১৩,০০০ মা) surfaced at ১০ নট (১৯ কিমি/ঘ; ১২ মা/ঘ)[8] |
সহনশীলতা: |
|
পরীক্ষিত গভীরতা: | ৪০০ ফু (১২০ মি)[8] |
লোকবল: |
|
রণসজ্জা: |
|
ডুবোজাহাজটি ১৯৪৫ হতে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীকে সেবা প্রদান করে। পরবর্তীতে আইয়ুব প্রশাসন এবং কেনেডি প্রশাসনের মধ্যে একটি সফল মধ্যস্থতার ফলে সিকিউরিটি এসিস্টেন্স প্রোগ্রাম (এসএপি)-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ডুবোজাহাজটিকে ধার নেয়।[10] ১৯৬৪ সালে জাহাজটি পাকিস্তান নৌবাহিনীতে যোগদান করে এবং ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যকার যুদ্ধের সাক্ষী হয়।[3]
১৯৬৮ সালে মেরামত এবং আধুনিকায়নের জন্য গাজীকে তুরস্কের গল্কুক শিপইয়ার্ডে নেয়া হয়। সেসময়ে ছয় দিনের যুদ্ধের কারণে সুয়েজ খাল বন্ধ থাকায় গাজী ভারত ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যদিয়ে নিমজ্জিতভাবে সম্পূর্ণ আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশের দক্ষিণাংশ অতিক্রম করে তুরস্কে পৌছায়। ডুবোজাহাজটি মোট ২৮টি এমকে ১৪ টর্পেডো বহনে সক্ষম ছিলো, পরবর্তীতে একে মেরামত করে এটিকে মাইন স্থাপনের উপযোগী বানানো হয়।[11]
১৯৬৫ সালের যুদ্ধ থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে ডুবে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত গাজীই ছিল ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ব্যবহৃত একমাত্র ডুবোজাহাজ। ১৯৭১ সালের ইন্দো-পাক যুদ্ধের সময় ভারতের পূর্ব উপকূলে বঙ্গোপসাগরে একটি নৌ অপারেশন পরিচালনার সময় রহস্যজনকভাবে গাজী ডুবে যায়।[12] ভারতীয় নৌবাহিনী দাবী করে তাদের ডেস্ট্রয়ার আইএনএস রাজপুতের গোলার আঘাতে গাজী নিমজ্জিত হয়েছে।[4][5][6][13][14] অপরদিকে, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ভাষ্যমতে ডুবোজাহাজটি হয়তো অভ্যন্তরীণ কোন বিস্ফোরণের ফলে অথবা বিশাখাপত্তম পোতাশ্রয়ে পুতে রাখা কোন মাইন বিস্ফোরণের ফলে নিমজ্জিত হয়েছে। নিরপেক্ষ সূত্র সমূহ এই বিষয়টি নিশ্চিত করে যে গাজী দুর্ঘটনা কবলিত হবার সময় আইএনএস রাজপুত ঐ স্থানে ছিল না এবং সেটি বন্দরেই অবস্থান করছিল।[7][15][16][17][18]
ভারতীয় ঐতিহাসিকরা গাজীর ডুবে যাওয়াকে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তারা এই ডুবে যাওয়াকে '১৯৭১ সালের যুদ্ধের সর্বশেষ এবং সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্যময় ঘটনা' হিসেবে বর্ণনা করেছেন।'[18][19]