পিংক ফ্লয়েডের ডিস্কোগ্রাফি
From Wikipedia, the free encyclopedia
ব্রিটিশ রক ব্যান্ড পিংক ফ্লয়েডের ডিস্কোগ্রাফি, ১৫টি স্টুডিও অ্যালবাম, ৪টি লাইভ অ্যালবাম, ১২টি সংকলন অ্যালবাম, ৫টি বক্স সেট, ৩টি এক্সটেন্ডেট প্লে, এবং ২৭টি একক গানের সমন্বয়ে গঠিত।
পিংক ফ্লয়েড ডিস্কোগ্রাফি | |
---|---|
স্টুডিও অ্যালবাম | ১৫ |
সরাসরি অ্যালবাম | ৪ |
সংকলন অ্যালবাম | ১২ |
ইপি | ৩ |
একক | ২৭ |
বক্স সেট | ৫ |
১৯৬৫ সালে গঠিত, পিংক ফ্লয়েড প্রাথমিকভাবে তাদের সাইকেডেলিক বা স্পেস রক এবং প্রোগ্রেসিভ রক সঙ্গীতের জন্য স্বীকৃতি অর্জন করে।[1] দার্শনিক গানের কথা, ধ্বনিত নিরীক্ষণ, সম্প্রসারিত সুর (কম্পোজিশন) এবং বিস্তৃত সরাসরি পরিবেশনার জন্য তারা প্রোগ্রেসিভ রক ধারার সঙ্গীতে তারা ব্যাপক পরিচিত। ২০১৩ সালের হিসেবে, বিশ্বজুড়ে এযাবৎ ব্যান্ডটির প্রায় ২৫ মিলিয়ন রেকর্ড বিক্রি হয়েছে,[2][3] যার মধ্যে ৭৪.৫ মিলিয়ন কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।[4]
গায়ক এবং গিটারবাদক সিড ব্যারেটের নেতৃত্বে পিংক ফ্লয়েড লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড মিউজিক দৃশ্যে সাফল্য অর্জন করে।[5] ১৯৬৬ সালের অক্টোবরে তারা পিটার জেনার এবং অ্যান্ড্রু কিংয়ের সাথে একটি ব্যবস্থাপনা চুক্তি স্বাক্ষর করে[6] এবং রেকর্ড লেবেলের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একটি ডেমো রেকর্ড করে।[7] ১৯৬৭ সালে, তারা ইএমআই কলাম্বিয়ার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং তাদের প্রথম একক গান, "আরনল্ড লেইন" প্রকাশ করে।[8] এরপর প্রকাশ করে তাদের প্রথম অ্যালবাম দ্য পাইপার অ্যাট দ্য গেট্স অব ডউন।[9]
১৯৬৮ সালে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় ব্যারেট দল ত্যাগ করেন, এবং গায়ক ও গিটারবাদক ডেভিড গিলমোর তার স্থানে প্রতিস্থাপিত হন। তারা দুজনই পিংক ফ্লয়েডের দ্বিতীয় অ্যালবাম অ্যা সোসারফুল অব সিক্রেট্স-এ কাজ করেন,[10] যেটি ছিল হিপনোসিসের করা তাদের প্রথমটি কভার আর্টওয়ার্ক।[11] ১৯৬৯ সালে, পিংক ফ্লয়েড একটি সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম মোর এবং একটি সম্মিলিত সরাসরি ও স্টুডিও অ্যালবাম, উমাগুমা প্রকাশ করে।[12] অ্যাটম হার্ট মাদার (১৯৭০) ছিল রন গিসিনের সাথে একটি সহযোগিতামূলক অ্যালবাম, যেখানে একটি অর্কেস্ট্রা এবং গায়কদল অংশ নিয়েছিল।[13] মেডল এবং অব্সকিওর্ড বাই ক্লাউড্স সাউন্ডট্র্যাক যথাক্রমে ১৯৭১ এবং ১৯৭২ সালে মুক্তি পেয়েছিল।[14][15]
পিংক ফ্লয়েডের অষ্টম অ্যালবাম, দ্য ডার্ক সাইড অব দ্য মুন (১৯৭৩), ৩০ মিলিয়নেরও অধিক কপি বিক্রি হয়েছে এবং এটি তাদের সর্বাধিক বিক্রি হওয়া অ্যালবামগুলির মধ্যে একটি।[16][17] এটি একটি কোয়াড্রোফোনিক এলপি এবং ৫.১ সারাউন্ড সাউন্ড সুপার অডিও সিডি হিসেবে পুনরায় প্রকাশিত হয়েছিল।[18] দ্য ডার্ক সাইড অব দ্য মুন অ্যালবামের পরে উইশ ইউ ওয়্যার হেয়ার (১৯৭৫), অ্যানিম্যাল্স (১৯৭৭), এবং দ্য ওয়াল (১৯৭৯); অ্যানিম্যাল্স ব্যতীত বাকিগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চার্টে শীর্ষ স্থানে ছিল এবং দ্য ওয়াল হল আমেরিকার রেকর্ডিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সর্বোচ্চ-প্রত্যয়িত মাল্টিপল-ডিস্ক অ্যালবাম।[19][20] ব্যারেটের প্রস্থানের পর পিংক ফ্লয়েড কয়েকটি একক গান প্রকাশ করে, এরমধ্যে "মানি" ইউএস শীর্ষ-২০ হিট গানের একটি ছিল এবং "অ্যানাদার ব্রিক ইন দ্য ওয়াল, অংশ ২" যুক্তরাজ্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষ স্থানে ছিল।[21]
বেসবাদক এবং গায়ক রজার ওয়াটার্স ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে পিংক ফ্লয়েডের প্রভাবশালী শক্তিতে পরিণত হন। তিনি ১৯৮৫ সালে দল ত্যাগ করেন, পিংক ফ্লয়েডকে "একটি ব্যয়িত শক্তি" বলে মন্তব্য করেন,[1] এবং ব্যর্থভাবে তাদের অংশীদারিত্ব ভেঙে দেওয়ায় এবং পিংক ফ্লয়েড নাম ব্যবহারের বিষয়ে মামলা করেন।[22] গিলমোরের নেতৃত্বে অবশিষ্ট সদস্যরা পিংক ফ্লয়েড হিসেবে রেকর্ডিং এবং সফর অব্যহত রাখেন, তারা অ্যা মৌমানট্রি ল্যাপ্স অব রিজন (১৯৮৭), দ্য ডিভিশন বেল (১৯৯৪)[23][24] এবং দি এন্ডলেস রিভার (২০১৪) প্রকাশ করেন।[25]
২০১০ সালে, পিংক ফ্লয়েড অপ্রদেয় রয়্যালটি পারিশ্রমিকের জন্য এবং তাদের সম্মতি ছাড়াই স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলিতে তাদের পিছনের ক্যাটালগ প্রকাশ করার জন্য ইএমআই প্রতিষ্ঠেনের বিরুদ্ধে মামলা করে। পরের বছর আইটিউন্সে পৃথক ট্র্যাক প্রকাশ এবং দ্য ডার্ক সাইড অব দ্য মুন, উইশ ইউ ওয়্যার হেয়ার ও দ্য ওয়াল অ্যালবামের পুনঃপ্রকাশের মাধ্যমে এর একটি মীমাংসা হয়েছিল।[26] পিংক ফ্লয়েড ২০১৬ সালে, পিংক ফ্লয়েড রেকর্ডস নামে একটি রেকর্ড লেবেল প্রতিষ্ঠা করে, এবং ভিনাইলের উপর তাদের কাজের বিস্তৃত পুনঃপ্রচার কার্যক্রম চালু করে, এবং দি আর্লি ইয়ার্স ১৯৬৫–১৯৭২ বক্স সেটের মধ্যে তাদের পূর্বে অপ্রকাশিত উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সঙ্গীত উপাদান অন্তর্ভুক্ত করে।[27][28] ২০২২ সালে, তারা ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইউক্রেনীয় শিল্পী আন্দ্রি খলিভনিউক সমন্বিত একটি একক গান, "হেই, হেই, রাইজ আপ!" প্রকাশ করে।[29]