পরিবেশ বিজ্ঞান
From Wikipedia, the free encyclopedia
পরিবেশের প্রতি মানুষের সম্পর্ক, উপলব্ধি এবং নীতিগুলি বোঝার জন্য পরিবেশগত অধ্যয়ন আরও বেশি করে সামাজিক বিজ্ঞানকে অন্তর্ভুক্ত করে। পরিবেশ প্রকৌশল প্রতিটি দিক থেকে পরিবেশগত মান উন্নত করার জন্য পরিকল্পনা এবং প্রযুক্তির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
পরিবেশ বিজ্ঞানীরা পৃথিবীর ভৌত, রাসায়নিক, জৈবিক এবং ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়াগুলি বোঝার চেষ্টা করেন, এরপর সেই জ্ঞান ব্যবহার ক'রে বিকল্প শক্তি ব্যবস্থা, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রশমন, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির মতো সমস্যাগুলি কিভাবে পৃথিবীর প্রাকৃতিক ব্যবস্থা এবং প্রক্রিয়াগুলিকে প্রভাবিত করছে এবং তাদের ক্ষতি করছে তা জানতে চান। পরিবেশগত সমস্যাগুলি প্রায় সবসময়ই ভৌত, রাসায়নিক এবং জৈবিক প্রক্রিয়াগুলির পারস্পরিক ক্রিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা পরিবেশগত সমস্যাগুলির বিশ্লেষণের জন্য একটি পদ্ধতিগত পন্থা নিয়ে আসেন। একজন কার্যকর পরিবেশ বিজ্ঞানীর মূল উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে স্থান এবং সময়ের সম্পর্কের মধ্যে সম্বন্ধ স্থাপন করার ক্ষমতা, সেইসাথে পরিমাণগত বিশ্লেষণ।
১৯৬০ এবং ১৯৭০ এর দশকে বৈজ্ঞানিক তদন্তের একটি সারগর্ভ, সক্রিয় ক্ষেত্র হিসাবে পরিবেশ বিজ্ঞান সক্রিয় হয়ে উঠেছিল, এর মূল চালিকাশক্তি ছিল (ক) জটিল পরিবেশগত সমস্যাগুলি বিশ্লেষণ করার জন্য অন্তঃ-বিষয়গত পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা, (খ) নির্দিষ্ট পরিবেশগত আচরণ বিধির তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশগত আইনের আগমন এবং (গ) পরিবেশগত সমস্যা মোকাবেলায় পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান জনসচেতনতা। যে ঘটনাগুলি এই উন্নয়নকে উৎসাহিত করেছিল তার মধ্যে রয়েছে রেচল কারসনের বিশিষ্ট পরিবেশ বিষয়ক বই সাইলেন্ট স্প্রিং[1]-এর প্রকাশনা। এছাড়াও প্রধান পরিবেশগত সমস্যাগুলির ধারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল, যেমন ১৯৬৯ সালের সান্তা বারবারা তেল ছড়িয়ে পড়া এবং ওহিওর ক্লিভল্যাণ্ডে কুয়াহোগা নদীতে "আগুন ধরে যাওয়া"র (এটিও ১৯৬৯ সালে) ঘটনা। পরিবেশগত সমস্যাগুলি সামনে আনতে এবং অধ্যয়নের এই নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে এই ঘটনাগুলি সহায়তা করেছিল।