পরিগাণনিক বিশ্লেষণ
From Wikipedia, the free encyclopedia
পরিগাণনিক বিশ্লেষণ বা ইংরেজি পরিভাষায় অ্যানালিটিক্স হল পরিগণক যন্ত্র (কম্পিউটার) ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ তথ্য বা পরিসংখ্যানের প্রণালীবদ্ধ গাণিতিক বিশ্লেষণ করে সেগুলিতে উপকারী, ব্যবহারোপযোগী ও অর্থবহ বিন্যাস আবিষ্কার করা, সেগুলি উপস্থাপন করা ও বোধগম্য ব্যাখ্যা প্রদান করার প্রক্রিয়া।[1] কার্যকরভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তথ্যের ধরন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের প্রয়োগও এর আওতাভুক্ত। যেসব ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণে তথ্য উপাত্ত তৈরি হয় এবং সেগুলি লিপিবদ্ধ ও নথিভুক্ত করা হয় সেসব ক্ষেত্রে পরিগাণনিক বিশ্লেষণের বহুবিধ ব্যবহার রয়েছে। পরিগাণনিক বিশ্লেষণের প্রক্রিয়াটিতে পরিসংখ্যান, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এবং কর্মাভিযানাদি গবেষণা (অপারেশনস রিসার্চ) - এই তিনটি ক্ষেত্রের বিভিন্ন উপায় একসাথে ব্যবহার করা হয়।
ব্যবসাটিক তথ্য-উপাত্তের সংজ্ঞায়ন, এর থেকে লব্ধ জ্ঞান ব্যবহার করে ভবিষ্যত অবস্থার পূর্বাভাস এবং ব্যবসায়িক ফলাফল উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলো পরিগাণনিক বিশ্লেষণ ব্যবহার করে থাকে। পরিগাণনিক বিশ্লেষণকে মোটা দাগে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়:বর্ণনামূলক পরিগাণনিক বিশ্লেষণ (Descriptive analytics), পূর্বাভাসমূলক পরিগাণনিক বিশ্লেষণ (Predictive analytics), নির্দেশমূলক পরিগাণনিক বিশ্লেষণ (Prescriptive analytics)। এছাড়া সমস্যানির্ণয়মূলক পরিগাণনিক বিশ্লেষণ (Diagnostic analytics) ও সংজ্ঞানাত্মক পরিগাণনিক বিশ্লেষণ (Cognitive analytics) আরও দুইটি শাখা।[2]
পরিগাণনিক বিশ্লেষণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন বিপণন, ব্যবস্থাপনা, অর্থসংস্থান, অনলাইন বা আন্তর্জালিক ব্যবস্থা, তথ্য নিরাপত্তা ও সফটওয়্যার সেবাসমূহে ব্যবহৃত হতে পারে। যেহেতু পরিগাণনিক বিশ্লেষণে ব্যাপকভাবে পরিগণনার প্রয়োজন হয় (বৃহৎ উপাত্ত দেখুন) তাই এটিতে যে কলনবিধি (অ্যালগোরিদম) ও নির্দেশনাসামগ্রী (সফটওয়্যার) ব্যবহার করা হয়, সেগুলিতে পরিগণক বিজ্ঞান (কম্পিউটার বিজ্ঞান), পরিসংখ্যানবিদ্যা ও গণিতশাস্ত্রের সবচেয়ে সাম্প্রতিক পদ্ধতিগুলি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।[3]