নাথু লা গিরিপথ
From Wikipedia, the free encyclopedia
নাথু লা (ইংরেজি: Nathu La[lower-alpha 1] তিব্বতি: རྣ་ཐོས་ལ་, ওয়াইলি: Rna thos la, )[13] হলো হিমালয়ের ডংক্যা পর্বতশ্রেণীতে তিব্বতে চীনের ইয়াতুং কাউন্টি এবং ভারতের সিকিম রাজ্য ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবর্তী একটি পর্বত গিরিপথ। গিরিপথটি ৪,৩১০ মি (১৪,১৪০ ফু) উচ্চতায় অবস্থিত। এটি কালিম্পং এবং গ্যাংটক শহর দুটিকে নিম্ন চুম্বি উপত্যকার গ্রাম এবং শহরগুলোর সাথে সংযুক্ত করেছে।
নাথু লা | |
---|---|
উচ্চতা | ৪,৩১০ মিটার (১৪,১৪০ ফুট)[2][3] |
অবস্থান | সিকিম, ভারত – তিব্বত, চীন |
পর্বতশ্রেণী | ডংক্যা রেঞ্জ, Himalaya |
স্থানাঙ্ক | ২৭°২৩′১৩″ উত্তর ৮৮°৪৯′৫১″ পূর্ব |
নাথু লা গিরিপথ | |||||||
সরলীকৃত চীনা | 乃堆拉山口 | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
ঐতিহ্যবাহী চীনা | 乃堆拉山口 | ||||||
|
জে ডব্লিউ এডগার ১৮৭৩ সালে গিরিপথটির বিষয়ে জরিপ করেছিলেন। তিনি গিরিপথটিকে তিব্বতিদের দ্বারা বাণিজ্যের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে বর্ণনা করেছিলেন। ফ্রান্সিস ইয়ংহাসব্যান্ড ১৯০৩-০৪ সালে, ১৯৩৬-৩৭ সালে লাসায় একটি কূটনৈতিক ব্রিটিশ প্রতিনিধি দল এবং ১৯৩৮-১৯৩৯ সালে আর্নস্ট শেফার এই গিরিপথটি ব্যবহার করেছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে সিকিম রাজ্যের বাণিজ্য এই গিরিপথটি ব্যবহার করে করা হতো। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের পরে কূটনৈতিকভাবে চীন এবং ভারত গিরিপথটি বন্ধ করে দেয়। গিরিপথটি পরবর্তী বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন সংঘর্ষের সাক্ষী হয়। এর মধ্যে ১৯৬৭ সালে সংঘর্ষের ফলে উভয় পক্ষের প্রাণহানি ঘটেছিল। নাথু লাকে প্রায়শই জেলেপ লা-র সাথে তুলনা করা হয। এটি নাথু লা থেকে ৩ মাইল (৪.৮কিমি) দূরত্বে অবস্থিত অপর একটি পার্বত্য গিরিপথ।
পরবর্তী কয়েক দশকে নাথু লা পুনরায় খোলার জন্য দুপক্ষের সম্পর্কের উন্নতি দেখা যায়। ২০০৬ সালে পুনরায় নাথু লা খোলা হয়। গিরিপথটি খোলার ফলে কৈলাস পর্বত এবং হ্রদ মানস সরোবরের তীর্থযাত্রার একটি বিকল্প পথ পাওয়া যায় এবং আশা করা হয়েছিল ক্রমবর্ধমান চীন-ভারত বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং এই অঞ্চলের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। বাণিজ্যে তুলনামূলক ইতিবাচক প্রভাব পড়লেও, এটি থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি এবং এটি কিছু নির্দিষ্ট ধরনের পণ্য এবং সপ্তাহের নির্দিষ্ট কিছু দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। ভারী তুষারপাত সহ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৭ থেকে ৮ মাসের জন্য সীমান্তের বাণিজ্য বন্ধ থাকে।
গিরিপথ্রথে দুপাশের রাস্তাই উন্নত করা হয়েছে। রেল রুট কাছাকাছি আনা হয়েছে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব সিকিমের অভ্যন্তরীণ পর্যটন সার্কিটের অংশ। সমগ্র চীন-ভারত সীমান্তের মধ্যে নাথু লা-তে উভয় পক্ষের সৈন্যরা নিকটতম অবস্থানে রয়েছে। এটি উভয় দেশের দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে পাঁচটি বর্ডার পার্সোনেল মিটিং পয়েন্টের মধ্যে একটি। ২০২০ সালের সীমান্ত উত্তেজনা এবং করোনা ভাইরাসের মহামারী সমগ্র গিরিপথকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পর্যটন এবং চলাচলকে প্রভাবিত করেছে।