নাউরু
From Wikipedia, the free encyclopedia
নাউরু প্রজাতন্ত্র (নাউরুয়ান ভাষা Ripublik Naoero, রিপুব্লিক্ নাওয়েরো; ইংরেজি : Republic of Nauru রিপাব্লিক্ অভ্ ন্যাউরু) হল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলে অবস্থিত একটি অতিক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র। এর নিকটতম দ্বীপ হল কিরিবাতির বানাবা দ্বীপ, যা এর ৩০০ মাইল পূর্বে অবস্থিত। এটি টুভালুর উত্তর-পশ্চিমে, সলোমন দ্বীপপুঞ্জের ১,৩০০ কিমি (৮১০ মা) উত্তর–পূর্বে, পাপুয়া নিউ গিনির পূর্ব-উত্তর-পূর্বে এবং ফেডার্টেড স্টেটস অফ মাইক্রোনেশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। এছাড়া এটি মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। নাউরু বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দ্বীপ রাষ্ট্র ( ক্ষেত্রফল মাত্র ২১ বর্গকিলোমিটার)। এর পাশাপাশি এটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ও একমাত্র দেশ যার কোনো রাজধানী নেই।[2]
নাউরু প্রজাতন্ত্র Repubrikin Naoero (নাউরো) | |
---|---|
নীতিবাক্য: "God's will first" | |
জাতীয় সঙ্গীত: Nauru Bwiema "Nauru, our homeland" | |
রাজধানী | নেই (দে জুরি) ইয়ারেন (দে ফ্যাক্টো)[lower-alpha 1] ০°৩২′ দক্ষিণ ১৬৬°৫৫′ পূর্ব |
বৃহত্তম নগরী | Denigomodu |
সরকারি ভাষা |
|
Commonly spoken | English[lower-alpha 2] |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ | নাউরুয়ান |
সরকার | Parliamentary republic with an executive presidency under a non-partisan democracy |
• রাষ্ট্রপতি | রাস কুন |
• Speaker of the Parliament | Marcus Stephen |
আইন-সভা | Parliament |
Independence | |
• from UN trusteeship (from the United Kingdom, Australia, and New Zealand) | ৩১ জানুয়ারি ১৯৬৮ |
আয়তন | |
• মোট | ২১ কিমি২ (৮.১ মা২) (১৯৩তম) |
• পানি (%) | 0.57 |
জনসংখ্যা | |
• ২০২০ আনুমানিক | 10,834[4][5] (২২৭তম) |
• ২০১১ আদমশুমারি | ১০,০৮৪[6] |
• ঘনত্ব | ৪৮০/কিমি২ (১,২৪৩.২/বর্গমাইল) (১২তম) |
জিডিপি (পিপিপি) | ২০২১ আনুমানিক |
• মোট | $১৩২ মিলিয়ন[7] (১৯২তম) |
• মাথাপিছু | $৯,৯৯৫[7] (৯৪তম) |
জিডিপি (মনোনীত) | ২০২১ আনুমানিক |
• মোট | $133 million[7] |
• মাথাপিছু | $১০,১২৫[7] |
মুদ্রা | অস্ট্রেলীয় ডলার (AUD) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি+১২[8] |
গাড়ী চালনার দিক | বামে |
কলিং কোড | +৬৭৪ |
ইন্টারনেট টিএলডি | .nr |
এখানকার আদি বাসিন্দারা হল মাইক্রোনেশীয় ও পলিনেশীয় জাতির মানুষ। জার্মানি ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে এটিকে দখল করে নেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর এটি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ও যুক্তরাজ্যের অধীনে একটি ম্যান্ডেট বা প্রশাসিত এলাকায় পরিণত হয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান এটি দখল করে। যুদ্ধের শেষে এটি আবার অধীনস্থ প্রশাসিত এলাকায় পরিণত হয়, এবং ১৯৬৮ সালে পূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করে।
নাউরু ফসফেট খনিজে সমৃদ্ধ। ১৯০৭ সাল থেকে এখানকার অর্থনীতির প্রধান আয় আসে ফসফেট খনিজ আকরিক আহরণের মাধ্যমে।[9] তবে বর্তমানে খনিজ ফসফেট প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, আর এই খনিজ আহরণ করতে গিয়ে পরিবেশগত বিপর্যয়ের সূচনা হয়েছে। দ্বীপের সম্পদ রক্ষার্থে স্থাপিত তহবিলের অব্যবস্থার ফলে এখানকার অর্থনীতিতে ধ্স নামে। অর্থ উপার্জনের জন্য নাউরুর সরকার বিভিন্ন অপ্রচলিত পদ্ধতির আশ্রয় নেয়। যেমন, ১৯৯০ এর দশকের শুরুর দিকে নাউরু কালো টাকা সাদা করার আখড়াতে পরিণত হয়। ২০০১ সাল থেকে এটি অস্ট্রেলীয় সরকারের অনুদান গ্রহণ করেছে। এর বিনিময়ে নাউরু অস্ট্রেলিয়াতে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের জেল হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নাউরুর জনসংখ্যা মাত্র ১৩,০৪৮ জন (২০০৫ সালের হিসাব)। এর মধ্যে ৫৮% নাউরুর আদি অধিবাসী, ২৮% অন্যান্য দ্বীপের অধিবাসী, ৮% চীনা, এবং ৮% ইউরোপীয়।[2]