নব্য মিশরীয় সাম্রাজ্য
From Wikipedia, the free encyclopedia
নব্য মিশরীয় সাম্রাজ্য, যাকে মিশরের ইতিহাসে 'নূতন রাজত্ব' (নিউ কিংডম) রূপেও বর্ণনা করা হয়ে থাকে, খ্রিস্টপূর্ব ষোড়শ শতক থেকে খ্রিস্টপূর্ব একাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী প্রাচীন মিশরের রাজবংশের কাহিনী, যা মিশরের অষ্টাদশ, ঊনবিংশ এবং বিংশ তম রাজবংশকে সূচীত করে। রেডিওকার্বন ডেটিং থকে মনে করা হয় যে এই সাম্রাজ্যের সূচনাকাল খ্রিস্টপূর্ব ১৫৭০ এবং ১৫৪৪ এর মধ্যবর্তী কোন এক সময়ে।[1] নতুন রাজত্বের পরবর্তীতে দ্বিতীয় মধ্যবর্তী রাজত্ব এবং তারও পরে তৃতীয় মধ্যবর্তী রাজত্ব মিশর শাসন করেছিল। নূতন রাজত্বের সময়কাল ছিল প্রাচীন মিশরের সবচেয়ে সমৃদ্ধ সময় এবং প্রাচীন মিশরের গৌরব, সমৃদ্ধি এবং শক্তির শীর্ষকে চিহ্নিত করে।[2]
নব্য মিশরীয় সাম্রাজ্যের নতুন রাজত্ব | |
---|---|
রাজধানী |
|
সরকার | Divine রাজতন্ত্র |
১৮৪৫ সালে জার্মান মিশরতত্ত্ববিদ ব্যারন ভন বুনসেন প্রাচীন মিশরের ইতিহাসের তিনটি "স্বর্ণযুগের" ধারণা দেন এবং এই সময়কালকে তিনটি স্বর্ণযুগের অন্যতম বলে অভিহিত করেন। এই স্বর্ণযুগের ধারণাটি অবশ্য ঊনিবংশ এবং বিংশ শতকের বিভিন্ন ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্বিকের হাত ধরে পরিবর্তিত হয়েছে।[3] নূতন সাম্রাজ্যের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাত ঊনবিংশ এবং বিংশতম রাজবংশ (খ্রিস্টপূর্ব ১২৯২-১০৬৯) এর আমলটি 'রামেসাইড কাল' হিসাবেও পরিচিত। উনিশতম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম রামেসিসের সম্মানার্থে এগারো জন ফারাও রামেসিস নামটি গ্রহণ করেন এবং তাদের নামেই এই সময়টিকে রামেসাইড কাল বলে চিহ্নিত করা হয়।[2]
সম্ভবত দ্বিতীয় মধ্যবর্তী সময়কালে বিদেশী শাসক হিকসোসদের শাসনকালের ফলস্বরূপ, নূতন সাম্রাজ্যের মিশর লেভান্ট এবং মিশরের মধ্যে যথাযথভাবে বাফার তৈরির প্রচেষ্টা দেখেছে এবং এই সময়েই মিশর তার সর্বোচ্চ সীমানা অর্জন করেছিল। একইভাবে, শক্তিশালী কুশীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা দ্বিতীয় মধ্যবর্তী সময়কালে খ্রিস্টপূর্ব সপ্তদশ শতাব্দীর সফল আক্রমণগুলির প্রতিক্রিয়া হিসাবে, নূতন সাম্রাজ্যের শাসকরা নূবিয়ায় আরও দক্ষিণে মিশরের সীমানা প্রসারিত করতে এবং নিকট প্রাচ্যে বিস্তৃত অঞ্চল দখল করতে বাধ্য বোধ করেছিলেন। উত্তরে, মিশরীয় সেনাবাহিনী হিট্টাইট সেনাবাহিনীর সাথে আধুনিক-সিরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করেছিল।