দুইনো
From Wikipedia, the free encyclopedia
দুইনো (ইতালীয়: Duino, স্লোভেনীয় ভাষায়: Devin) ইতালির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ত্রিয়েস্তে-র একটি ছোট শহর। এটি মূলত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ফ্রিউলি-ভেনেৎসিয়া জুলিয়া-র অন্তর্ভুক্ত দুইনো-আউরিসিনা মিউনিসিপ্যালিটির অংশ। অনুমিত জনসংখ্যা হচ্ছে ৮,৭৫৩ এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৯৩.৮।
দুইনো Duino | |
---|---|
শহর | |
দুইনোর শহর | |
দুইনোর অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ৪৫°৪৬′২৯″ উত্তর ১৩°৩৬′২২″ পূর্ব | |
দেশ | ইতালি |
অঞ্চল | ফ্রিউলি-ভেনেসিয়া জুলিয়া |
প্রদেশ | ত্রিয়েস্তে |
শহর | ওরেসিনা |
উচ্চতা | ৩৯ মিটার (১২৮ ফুট) |
সময় অঞ্চল | মান সময় (ইউটিসি+১) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | +২ (ইউটিসি) |
পোষ্ট কোড | ৩৪৯০১১ |
এলাকা কোড | ০৪০ |
প্রখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী, পরিসাংখ্যিক বলবিদ্যার জনক, লুডভিগ বোলৎসমান ১৯০৬ সালের ৩রা ডিসেম্বর এই শহরেই আত্মহত্যা করেছিলেন। বিখ্যাত গীতিকবি রাইনার মারিয়া রিলকে এই শহর দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। স্লোভেনিয়ার জনপ্রিয়া লোক কিংবদন্তি Lepa Vida এখানেই সংঘটিত হয়েছিল।[1]
শহরটির মূল আকর্ষণ হচ্ছে দুটি দুর্গ। একাদশ শতকে নির্মিত প্রথম দুর্গটির ধ্বংসাবশেষই বর্তমানে কেবল টিকে আছে। কিন্তু নতুন দুর্গটিতে এখনও মানুষ থাকে, এবং ভ্রণের জন্যও এটি উন্মুক্ত। প্রাচীন দুর্গটির ধ্বংসাবশেষের নিচে সমুদ্রের দিখে মুখ করা একটি বিশাল সাদা পাথর রয়েছে যার নাম দামা বিয়ানকা। পাথরটি পর্দায় ঢাকা একটি মেয়ের প্রতিনিধিত্ব করে এবং এ থেকে অনেক গোথিক কিংবদন্তির জন্ম হয়েছে।
১৯৮২ সাল থেকে এখানে ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজ অফ আড্রিয়াটিক নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। পৃথিবীর ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসতে পারে। এটি ইউনাইটডে ওয়ার্ল্ড কলেজেস (United World Colleges) প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত। এর উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীর মানুষদের একীভূত করা।
১৯৫০-র দশকের আগে দুইনো মূলত স্লোভেনীয় ভাষাভাষীদের শহর ছিল, অল্প কিছু ইতালীয়-ভাষী লোকের বাস ছিল এখানে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে স্লোভেনিয়ার উদারনৈতিক জাতীয়তাবাদের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল এই শহর। কিন্তু ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত এটি ছিল ত্রিয়েস্তে নামক একটি স্বাধীন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। এ সময়ই শহরের জনচিত্র পাল্টে যায়। কারণ অনেক ইস্ত্রিয়ান ইতালীয়রা ইউগোস্লাভিয়া থেকে পালিয়ে এসে দুইনোতে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে এখানকার অধিকাংশ মানুষ ইতালীয় ভাষায় কথা বলে, স্লোভেনীয়-ভাষীরা সংখ্যালঘু। তবে শহরের অধিকাংশ চিহ্ন এবং নাম দুই ভাষাতেই লেখা থাকে।